কুমারখালীতে প্রথমবারের মতো চলছে চিত্রকর্ম প্রদর্শনী
কুমারখালী ( কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার গড়াই নদীর কুল ঘেঁষে অবস্থিত কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরি। আধাপাকা লাইব্রেরির উত্তর-পূর্ব-দক্ষিণ দেওয়ালে টাঙানো হয়েছে জুলাই বিপ্লব, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়ি, কুষ্টিয়ার বিখ্যাত তিলের খাজা, গ্রামীণ চিত্রসহ অন্তত ১১০টি চিত্র।সেগুলো ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। কেউ আবার স্মার্টফোনে ছবির সঙ্গে নিজেকে ফ্রেম বন্ধী করছেন। ১১ জানুয়ারি শনিবার বিকেল ৫টার দিকে সরেজমিন গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।রং-তুলি ও কাগজে চিত্রগুলো এঁকেছেন রাজশাহী, কুষ্টিয়ার ইসলামি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের প্রায় ২৭ জন শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮৩ জন নানা বয়সি শিক্ষার্থী।জানা গেছে, প্রথমবারের মতো এ উপজেলায় সাত দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। শিশু শিল্পীদের উৎসাহ প্রদানে এবং মেধা বিকাশের লক্ষ্যে এমন আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ড. নাসের ফাউন্ডেশন।শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ও আর্ট বাংলার সহযোগিতায় চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাবির চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজাহারুল ইসলাম চঞ্চল। ড. নাসের ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও বেকার্সফিল্ড ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির যোগাযোগ বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. মো. আবু নাসেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম, ঢাবির চারুকলা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ও আর্ট বাংলা ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক হারুন অর রসিদ টুটুল। কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরিতে এ প্রদর্শনী চলবে ১৮ জানুয়ারি রাত ৮টা পর্যন্ত।এ বিষয়ে কুমারখালী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিথী কুণ্ডু বলেন- সূর্য, গাছপালা ও ঘরসহ গ্রামীণ জীবনের ছবি এঁকে প্রদর্শনী করেছি। খুব ভালো লাগছে।জিয়াউর রহমান মানিক নামের এক অভিভাবক বলেন, দেশের বিখ্যাত চিত্র শিল্পীদের সঙ্গে শিশুরাও ছবি এঁকেছে। একই সঙ্গে সকলের ছবি প্রদর্শনী হয়েছে। এতে শিশু-কিশোর-কিশোরীরা অনুপ্রেরিত হচ্ছে।কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাস বলেন, জুলাই বিপ্লব, কুঠিবাড়ি, লালন, তিলের খাজা, গ্রামীণ জীবন, নদীসহ অনেক ছবি দেখলাম। ছবিগুলো খুবই চমৎকার ও জীবন্ত মনে হয়েছে।ড. নাসের ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড. মো. আবু নাসের বলেন, শিশু ও নতুন শিল্পীদের উৎসাহ প্রদান এবং মেধা বিকাশের জন্য দুই দিনব্যাপী আর্ট ক্যাম্প শেষে সাত দিনব্যাপী প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।জীবন শিল্পকে অনুসরণ করে। কিন্তু শিল্প জীবনকে অনুসরণ করে না বলে মন্তব্য করেন ঢাবির চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজাহারুল ইসলাম চঞ্চল। তিনি বলেন, সকলেই মানুষ হতে চাই। তবে মানুষ হওয়ার জন্য শিল্পকলা ও শিল্পীর বিকল্প নেই। শিল্প, ইতিহাস ও সাহিত্যের বিপ্লব ঘটলে দেশের উন্নয়ন হবে।