জলকেলিতে মেতেছে পাহাড়ের মারমা তরুণ-তরুণীরা
রাঙামাটি প্রতিনিধি: নতুন বছরের আগমনকে ঘিরে পাহাড়ে চলছে বৈসাবি উৎসবের আমেজ। পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়গুলো তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি তুলে ধরছে নানা আয়োজনের মাধ্যমে। পাহাড়ের অন্যতম পাহাড়ি জনগোষ্ঠী হচ্ছে মারমা সম্প্রদায়। যারা প্রতিবছর পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসবের আয়োজন করে থাকে।এ বছর মারমা সংস্কৃতি সংস্থার (মাশাস) ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে সাংগ্রাই জল উৎসব। যেটাকে জলকেলি উৎসবও বলা হয়ে থাকে। পুরোনো বছরের দুঃখ, গ্লানি মুছে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে এ সম্প্রদায় ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসবের আয়োজন করে থাকে।১৬ এপ্রিল বুধবার রাঙামাটির বাঙ্গালহালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উৎসবটিকে ঘিরে তিন পার্বত্য জেলার পাহাড়ের মারমা সম্প্রদায়সহ পাহাড়ি-বাঙালির এক মিলনমেলা সৃষ্টি হয়েছে।অনুষ্ঠানের শুরুতে ফিতা কেটে উৎসবের মূল আকর্ষণ ‘জলকেলি’ পর্বের উদ্বোধন করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।সাংগ্রাই উদ্যাপন কমিটির সভাপতি মংসুইপ্রু মারমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কাপ্তাই জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মাহামুদুল হাসান সোহাগ পিএসসি।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি কাপ্তাই জোন উপ অধিনায়ক মেজর ফয়েজ আহম্মেদ পিএসসি, রাজস্থলী সাব জোন কমান্ডার মেজর হাসিব ইমাম, ইউএনও সজীব কান্তি রুদ্র, রাজস্থলী সার্কেল বেলায়েত হোসেন, রাজস্থলী থানা ভার-প্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার চৌধুরি, চন্দ্রঘোনা থানার ওসি শাহজাহান কামাল, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ক্যওসিমং মারমাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।এরপর পানি খেলা শুরু। এতে অংশ নেন মূলত অবিবাহিত তরুণ-তরুণীরা। একে অপরকে পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে তাঁরা পুরোনো বছরের পাপ ও দুঃখ ভুলে নতুন বছরকে বরণ করে নেন—এমনটাই তাঁদের বিশ্বাস।