• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ দুপুর ১২:৩৯:৩৯ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ দুপুর ১২:৩৯:৩৯ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে বাংলাদেশি জাহাজ, ২৩ নাবিক জিম্মি

ডেস্ক রিপোর্ট: ভারত মহাসাগরে নৌদস্যুদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী একটি জাহাজ। জাহাজটির নাম এমভি আবদুল্লাহ, মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১টায় জাহাজটি দস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে গ্রুপটি। জাহাজটি দস্যুরা জিম্মী করেছে এমন খবরে জাহাজে থাকা নাবিকদের স্বজনদের মাঝে চরম উদ্বেগ শঙ্কা বিরাজ করছে।কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম সাংবাদিকদের জানান, জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে নৌদস্যুদের কবলে পড়ে। জাহাজের ২৩ জন নাবিক নিরাপদে আছেন। ঘটনাটি জানার পর তারা জাহাজের নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন বলে মেহেরুল করিম জানিয়েছেন।জাহাজে থাকা একজন বাংলাদেশি নাবিকের পাঠানো হোয়াটস অ্যাপ বার্তায় জানা গেছে, শ’খানেক দস্যু জাহাজটিকে আক্রমণ করে। সেটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করা হয়। তাদের কেবিনে রাখা হয়েছে। জাহাজে অন্তত ৫০ জন সশস্ত্র দস্যু অবস্থান করছে। তবে নাবিকরা সুস্থ আছেন। জিম্মি করা হলেও তাদের কোনো আঘাত করা হয়নি। জাহাজটিকে দস্যুরা সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যেতে বাধ্য করছে।জানা গেছে, জাহাজটির নাবিকদের মধ্যে সাত জন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ক্যাডেট আছেন। এরা হলেন- চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার মো. তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট মো. সাব্বির হাসান, চিফ ইঞ্জিনিয়ার আ স ম সাইদুজ্জামান, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন এবং ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ূব খান।এর আগে, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরবসাগরে সোমালিয়ান দস্যুদের কবলে পড়েছিল একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’। ওই জাহাজের ২৫ বাংলাদেশি নাবিকের পাশাপাশি এক ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ ২৬ জনকে ১০০ দিন জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। সরকারি উদ্যোগসহ নানা প্রক্রিয়ায় ২০১১ সালের ১৪ মার্চ জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হয়। ১৫ মার্চ তারা বাংলাদেশে ফিরে আসেন।এম ভি আবদুল্লাহ জাহাজটি গত বছর সংগ্রহ করে কেএসআরএম গ্রুপ। ২০১৬ সালে তৈরি জাহাজটি লম্বায় ১৯০ মিটার। কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর সাধারণ পণ্য পরিবহন করে আসছিল জাহাজটি।