• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০১:৩৪:১৫ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০১:৩৪:১৫ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

ঠিকমত পারিশ্রমিক না দেয়ায় ঠিকাদারকে হত্যার অভিযোগ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের রাজনগরে রাজমিস্ত্রিদের কাজের পারিশ্রমিক না দেয়া ও ঠিকমতো খাবার না খাওয়ানোর জেরে সিরাজুল ইসলাম সাইফুল (২৮) নামে এক ঠিকাদারকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় মনসুননগর ইউনিয়নের মালিকুনা গ্রাম থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ২জনকে আটক করেছে। আটকরা হলো, শ্রমিক আব্দুল মুমিন (২৩) ও জহির মিয়া (২১)। তাদের দেয়া তথ্যানুসারে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা, লোহার রড, ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা উদ্ধার করেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার মনসুননগর ইউনিয়নের মালিকুনা গ্রামের সুনু মিয়ার ছেলে রাজমিস্ত্রি ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম সাইফুল প্রায় ১বছর ধরে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের সিকরাইল গ্রামের মাহিন আহমেদের বাড়িতে নির্মাণ শ্রমিকের ঠিকাদারি কাজ করছিলেন। সেখানে তার সঙ্গে থেকে আরও কয়েকজন শ্রমিক কাজ করতো। দেড় মাস আগে নির্মাণ কাজের জন্য উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের শ্যামরকোনা গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও মানিক মিয়ার ছেলে জহির মিয়াসহ কয়েকজনকে কাজে রাখেন সাইফুল। ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার তারা একত্রে বাজার করে এবং রান্না করে খাবার খায়। ধারণা করা হচ্ছে, ঐ রাতেই সাইফুলকে হত্যা করে পালিয়ে যায় শ্রমিকরা ।শুক্রবার ঘরের কাজ দেখতে গিয়ে মাহিন আহমদ সিরাজুল ইসলাম সাইফুলের মরদেহটি দেখতে পান। পরে মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশকে খবর দিলে বিকেলে মরদেহটি উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে সদর সার্কেলের এ.এস.পি. আজমল হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার সন্ধ্যায় নিহতের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা পুলিশকে জানিয়েছে, ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম সাইফুল তাদের পারিশ্রমিক ঠিকমতো দিতো না এবং খাবার খাওয়াতো না। এ নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে তাকে হত্যা করে শ্রমিকরা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।নিহত সিরাজুল ইসলামের পিতা চুনু মিয়া বলেন, তারা বৃহস্পতিবারে একসঙ্গে বাজার করে রাতে রান্না করে খেয়েছে। টাকা নিয়ে ঝগড়া হলে তারা কাজ বাদ দিতে পারতো। একসঙ্গে থাকার পর এ হত্যাকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না। হয়তো ভিন্ন কোনও কারণে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় ২জনকে আটক করা হয়েছে। তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পারিশ্রমিক না দেয়া এবং ঠিকমত খাবার না খাওয়ানোয় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং একপর্যায়ে সাইফুলকে হত্যা করে আসামীরা। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।