আজকের দিন আপন করে নেওয়ার দিন: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আজকের দিন আপন করে নেওয়ার দিন। আমরা সেই বাণী আমাদের মনে ধারণ করে প্রত্যেকেই যেন পরস্পরকে ধারণ করি, যত রকম দূরত্ব ছিল, সেই দূরত্ব থেকে আমরা সরে আসতে পারি। এতেই সমাজের মঙ্গল।তিনি বলেন, ঈদের বাণী হচ্ছে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা, অতীতকে পেছনে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। সমাজে এরকম একটা দিন আমরা স্থির করতে পেরেছি, আমাদের দিয়েছে, এটাই আমাদের জন্য একটা মস্তবড় আশীর্বাদ।৩১ মার্চ সোমবার বিকেলে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আজকে ঈদের দিন আমরা সবাই একত্রিত হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। আমার অবস্থা এমন, কারও সঙ্গে দেখা করা কঠিন বিষয়। কাজেই আজকে এতজনের সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য পেয়ে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমরা আজকে ঈদের মহাউৎসব পালন করেছি। ঈদের বাণী হচ্ছে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা, অতীতকে পেছনে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, সমাজে এরকম একটা দিন আমরা স্থির করতে পেরেছি, আমাদের দিয়েছে, এটাই আমাদের জন্য একটা মস্তবড় আশীর্বাদ। একটা দিন! এটা যেমন তেমন দিন না, যেমন তেমনভাবে দেখা করলে হয় না, কোলাকুলি করতে হয়। এটাই ধর্মের বিধান। আমরা কোলাকুলি করে সবাইকে আপন করে নেই।তিনি বলেন, সমাজের মঙ্গল যেন আমরা আগ্রহ সহকারে নিজেদের মধ্যে আত্মস্থ করতে পারি। সেজন্য এবারের ঈদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আমরা পরস্পরের কাছে আসি, পরস্পরের দূরত্ব থেকে আমরা সরে আসতে পারি, চারিদিকে সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি। কারণ ঐক্যবদ্ধ হওয়া আমাদের জন্য, এই সময়ের জন্য বিশেষভাবে জরুরি।‘সেটা যেন আমরা অর্জন করতে পারি। আজকের মিলনমেলায় সেই বাণী আত্মস্থ করে সামনের পথে অগ্রসর হবো, পরস্পরের প্রতি সহনশীল হবো, তার চাইতেও বেশি আমরা পরস্পরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করবো। এর মাধ্যমেই সমাজে শান্তি আসে। বাংলাদেশে শান্তি অত্যন্ত জরুরি। সেই কথা যেন আমরা মনে রাখি।’প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজকের দিন আমরা প্রতিদিন স্মরণ করি। আমরা দেশে শান্তি চাই, যাতে মানুষ নিজ মনে নিজের আগ্রহে চলতে পারে। কারো ভয়ে, ভীত হয়ে তাকে চলতে না হয়। আমরা সবাই সবার মঙ্গল কামনা করি। আমরা জাতির জন্য শান্তি চাই এবং সারা পৃথিবীর জন্য শান্তি চাই।