সৈয়দপুর বাজারে অপরিপক্ব তরমুজের কেজি ১০০ টাকা
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুর বাজার ভরে গেছে অপরিপক্ব তরমুজে। ওই সকল অপরিপক্ব তরমুজ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়ে আসছেন কতিপয় আড়তদার। এরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় ওই তরমুজ সৈয়দপুরে নিয়ে এসে বিক্রি করছেন। সৈয়দপুর বাজারে বেশ কয়েকজন আড়তদার আছেন। মূলত তারাই ফলগুলো আমদানি করে থাকেন।খুচরা ফল ব্যবসায়ী আলম জানান, বাজারে ছোট ছোট তরমুজ এনেছেন আড়ৎদাররা। আমরা ওই তরমুজ প্রথম দিকে ক্রয় করেছি প্রতি মণ ১ হাজার ৪০০ টাকা। আর খুচরা বিক্রি করেছি ১৬০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে। পরবর্তী সময়ে দাম কিছুটা কমে যায়। সে সময় প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি করেছি ৬০ টাকা। বর্তমান বাজারে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা তরমুজের কেজি বিক্রি হচ্ছে। আমরা সৈয়দপুরে প্রায় শতাধিক ভ্রাম্যমাণ খুচরা ফল বিক্রেতা রয়েছি। প্রতিদিন আমরা নগদে আড়ত থেকে ফল ক্রয় করে পুরো শহরে ভারে করে বিক্রি করি। কোনো ফল পরিপক্ষ আর কোনটা অপরিপক্ব তা আমরা জানি না। তবে বুঝতে পারি ফলের ভাল মন্দ।স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এক চিকিৎসক জানান, ওই সকল অপরিপক্ব তরমুজ খেলে শরীরের উপকারের চেয়ে অপকার বেশি হবে। তিনি জানান, সব ধরনের ফল খাওয়া শরীরের জন্য উপকার। তবে অপরিপক্ব কোনো ফল না খাওয়াই ভালো। এতে শরীরের নানান রোগ হতে পারে।অপরিপক্ব তরমুজ কেন বিক্রি করা হচ্ছে জানতে চাইলে এ ব্যাপারে এক আড়তদার জানান, বৃষ্টি নেই, যার কারণে তরমুজ ঠিকমতো সবল হয়নি। তাছাড়া ওই তরমুজ আর বড় হবেও না। এরপরও যদি জমিতে রাখা হয় তাহলে পচে যাবে। তাই চাষি লোকসান থেকে রক্ষা পেতে আগাম তরমুজ বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, পরিপক্ষ তরমুজে যে স্বাদ আছে তা অপরিপক্ব তরমুজে নেই।নীলচোখ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মো. সেকেন্দার আলী জানান, বাজারে অপরিপক্ব তরমুজ বিক্রি হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই কোনো অভিযান।