• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১২:১৬:৪৭ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১২:১৬:৪৭ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

সালমান ও টিপু মুনশি মিলে হাতিয়ে নেন তিস্তা পাড়ের কোটি কোটি টাকার জমি

পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি: তিস্তা নদীর তীরে দেশের বৃহত্তম সোলার প্যানেল তিস্তা সোলার লিমিটেড গড়ে তুলেছেন বেক্সিমকো কোম্পানি মালিক সালমান এফ রহমান। তিস্তা পাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। সে সময় ৬৫০ একর জমি সরকারি মূল্যে ক্রয়ের কথা থাকলেও স্থানীয়দের ভয়ভীতি দেখিয়ে রংপুর-৪ আসনের এমপি ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সহযোগিতায় সিন্ডিকেট করে অসহায় চরবাসীর কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে হাতিয়ে নেয়া হয়।তিস্তাচরের বাসিন্দাদের ৬৫০ একর জমি ছাড়াও নদীর অববাহিকায় গতিপথ পরিবর্তন করে আরও কয়েকশ’ একর জমি লিজ নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে তিস্তা সোলার লিমিটেড। কাগজে-কলমে প্রকল্পের আয়তন ১০০০ একর বলা হলেও প্রকৃত অর্থে এখানে জমির পরিমাণ ১৬০০ একরেরও বেশি। এ সকল জমি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং তাদের ওই কোম্পানিতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে স্বল্প মূল্যে ও জোরপূর্বক দখল করা হয়েছে।তিস্তা সোলার লিমিটেড বেক্সিমকোর মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান, যার চেয়ারম্যান দেশের ব্যাংক লুটের মূল হোতা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর  উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। টিপু ও সালমান রহমানের যৌথ সিন্ডিকেট করে প্রতিষ্ঠা করে এ প্রতিষ্ঠান।সাব ঠিকাদার হিসেবে অনেকেই প্রতিষ্ঠানটির জন্য মালামাল ও জনবল সংগ্রহ করলেও পরবর্তীতে তাদের ঠিকভাবে টাকা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন সোহাগ নামে এক ঠিকাদার।জাকির নামে আরেকজন জানান, ‘চাকরি দেবে বলে আমার চরের ৩ একর জমি লিখে নেয়, পরে পর্যন্ত চাকরি দেয়নি। ক্ষমতাসীন হওয়ায় তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কারো ছিল না।’৫ আগস্ট হাসিনা দেশ ত্যাগের পর একে একে আত্মগোপনে চলে যায় তার দলের শীর্ষ স্থানীয় সকল নেতা-এমপি-মন্ত্রীরা। একের পর এক মামলা হলে ছদ্মবেশে দেশ ত্যাগ করার সময় আটক হন আলোচিত সালমান এফ রহমান। এর পর থেকেই বেরিয়ে আসতে থাকে চাঞ্চল্যকর সকল তথ্য।অন্যদিকে ২৮ আগস্ট রাজধানীতে র‍্যাবের অভিযানে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসতে শুরু করে তাদের সিন্ডিকেটের সকল রহস্য।বর্তমানে তিস্তা সোলার পাওয়ার প্লান্টিতে কাজ করা অনেক কর্মী চলে গেছেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আপাতত কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মী দ্বারা এ পাওয়ার প্লান্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।