• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৪:১৪:৩৪ (23-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৪:১৪:৩৪ (23-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

বাগেরহাটে ৯ম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের ফকিরহাটে ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ৪০ হাজার টাকায় স্থানীয়ভাবে আপসরফা করার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারটি জানায়, ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য হুমায়ুন মোড়ল ও কামরানের চাপে ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার বেলা ১১টার দিকে অভিযুক্তের বাড়ির সামনের রাস্তায় সালিশ বৈঠক হয়। সেখানেই জোর করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে মেয়ের বাবার হাতে ৪০ হাজার টাকা ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।নিরাপত্তার কারণে ওই স্কুল ছাত্রীকে এলাকার বাইরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়েছে তার পরিবার। সেখান থেকে সোমবার খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া হয়েছে।স্থানীয় প্রভাব ও পারিপার্শ্বিক চাপে রাতে বাড়ি থাকতে পারছেন না জানিয়ে ওই কিশোরীর বাবা মঙ্গলবার দুপুরে মুঠোফোনে বলেন, আমি দিনমজুরি কাজ করে সংসার চালাই। বৃহস্পতিবার কাজের কারণে বাগেরহাটে ছিলাম। আমার বাড়িতে না থাকার সুযোগে ওই রাতে প্রতিবেশী গৌরঙ্গ দাস (৩২) আমার মেয়েকে অচেতন করে ঘরের জানালা ভেঙে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ভোর রাতে মেয়েকে বাড়ির পাশের একটি পুকুর সংলগ্ন বাগানে খুঁজে পায় পরিবার।এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা যুবক গৌরঙ্গের একাধিক বিয়ে আছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করাসহ নানা অভিযোগও রয়েছে।শুক্রবার সকাল থেকেই ছাত্রীর ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তোড়জোড় শুরু করে স্থানীয়ভাবে বিএনপি নেতা পরিচয় দেওয়া কিছু ব্যক্তি। তাদের মাঝে ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য হুমায়ুন মোড়ল ও কামরানের চাপে রোববার বেলা ১১টার দিকে ধর্ষকের বাড়ির সামনের রাস্তায় সালিশ বৈঠক হয়। সেখানেই জোর করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে মেয়ের বাবার হাতে ৪০ হাজার টাকা ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।ওই কিশোরীর বাবা বলেন, হুমায়ুন মোড়ল ও কামরান মিলে মেয়েকে ধর্ষণের বিষয়টি মিট-মীমাংসা করে। প্রথমে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে। পরে স্ট্যাম্পে সই নিয়ে ৪০ হাজার টাকা ধরিয়ে দেয়।এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আতঙ্কে আমি বাড়ি-ঘরে থাকতে পারছি না। আমারে অন্যরা বলছে, তুমি বাড়িঘরে থাইওনা, বাজার ঘাটে উইটো না। আমি আবার স্ট্যাম্পের একটা ফটোকপি একজনরে দিয়ে আনতি পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু তারা বলিছে, দেওয়া যাবে না। এখন আমার এখানে (এলাকায়) থাহা ডাও নিরাপদ না। কাদের ভয়ে এলাকায় নিরাপদ মনে করছেন না প্রশ্ন করলেও আতঙ্কে কিছু বলতে চাননি তিনি।এ বিষয়ে জানতে বিএনপি নেতা হুমায়ুন মোড়লের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কে বলিছে আপনারে। অভিযোগকারীর কাছে খোঁজ করেন, সেটা আমারে বলে কোন প্রয়োজন আছে। আমি কিছু জানি না বলে ফোন কেটে দেন।এ বিষয়ে ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থেকে আমাদের থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিকে আটক করার জন্য আমাদের সাঁড়াশি অভিযান চলমান রয়েছে বা চলছে।