নবাবগঞ্জে বাংলা মদের রমরমা বাণিজ্য, ৪০০ লিটারসহ আটক ২
নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার নবাবগঞ্জে ৪০০ লিটার চোলাই মদসহ দুই জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। আটকরা হলেন- শোল্লা ইউনিয়নের নিলাম্বারপট্টি গ্রামের মৃত মুসলিম খানের ছেলে জালাল খান (৩৮) ও রূপারচর গ্রামের সাগর বেপারীর স্ত্রী পিয়াড়া বেগম (২৬)।১৫ নভেম্বর শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের রূপারচর এলাকায় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সন্ধ্যায় নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রূপারচর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাংলা মদের ব্যবসা করে আসছিল বেশ কয়েকটি বসতবাড়িতে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। এসময় তিনটি বাড়ি থেকে মোট ৪শত লিটার চোলাই মদ ও ১০ গ্রাম গাঁজাসহ দুইজনকে আটক করা হয়৷ এছাড়া দেশীয় মদ তৈরির কয়েকটি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে এই রূপারচর এলাকায় বাংলা মদ তৈরি অনেকটাই নির্মূল হয়েছিল। ওই এলাকার পেশাদার মাদক কারবারিরা প্রশাসনের কাছে আত্মসমর্পণও করেছিল নবাবগঞ্জে একটি মাদক বিরোধী অনুষ্ঠানে। এই পথ (মাদক ব্যবসা) ছেড়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হবেন বলে অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন তারা। কিন্তু হঠাৎ বেশ কয়েক মাস যাবৎ এই রূপারচরে আবারও বাংলা মদের ব্যবসা রমরমা হয়ে উঠেছে বলে একাধিক সূত্র থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ আসে।জানা গেছে, এই বাংলা মদ তৈরি ও বিক্রির পেছনে বড় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। তবে প্রভাবশালী এই সিন্ডিকেট কারা? কী তাদের পরিচয়?। তারা কী কোন রাজনৈতিক দলের নেতা? এসব প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মনে। যারা এই দেশীয় মদ তৈরির সাথে জড়িত এবং শেল্টারদাতাদেরও খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান স্থানীয়রা।নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল ইসলাম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বসতবাড়ি থেকে দেশীয় চোলাই মদসহ দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৪’শত লিটার দেশীয় মদ এবং মাদক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।তিনি আরও বলেন, আটক দুজন পেশাদার মাদক কারবারি৷ তাঁদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন। নবাবগঞ্জে মাদক বিরোধী অভিযান চলমান থাকবে।