জাল-সনদে চাকরি, ২০ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেটের মামলা
নওগাঁ প্রতিনিধি: জাল সনদ ব্যবহার করে নওগাঁর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি নেওয়া ২০ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে দেশের একটি অনলাইন গণমাধ্যম জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর স্বপ্রণোদিত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আদালত।১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে নওগাঁর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি গ্রহণ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেছেন।আগামী ৩০ ডিসেম্বর আসামিদের গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল প্রতিবেদনের জন্যেও নির্দেশ দেয় আদালত। এর আগে সোমবার ১৮ নভেম্বর জাল সনদে চাকরি করে সরকারি বেতন তুলছেন নওগাঁর ১০ শিক্ষক শিরোনামে জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশিত হয়।আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবু হাসানাত নয়ন বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি নজরে আসলে ওই ঘটনার বিস্তারিত জানতে ম্যাজিস্ট্রেট প্রাথমিক অনুসন্ধান করেন। এরপরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানদের উদাসীনতা লক্ষ করেন। এটিকে সমাজে অব্যবস্থাপনার চিত্র হিসেবে মনে করেছেন আদালত।তিনি আরও বলেন, জাল সনদ তৈরি করে আসল হিসেবে ব্যবহার করে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ ও গৃহীত সরকারি টাকা প্রতারণা পূর্ব আত্মসাৎ করার বিষয়টি আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য অপরাধ। তাই সার্বিক পর্যালোচনায় এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিচারক স্বপ্রণোদিত হয়ে ওই ২০ জন শিক্ষককে আসামি করে ফৌজদারি মামলা গ্রহণ করেছেন। সেই সাথে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুর আদেশের অনুলিপি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর পাঠিয়েছেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়োনা জারির পর থেকেই তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। অচিরেই প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।নওগাঁর জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল বলেন, জাল সনদে চাকুরি নেয়া শিক্ষকদের বিষয়টি শীঘ্রই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।