পদ্মার ভাঙনে বিলিনের পথে স্কুলসহ অর্ধশতাধিক বাড়িঘর
মাহিদুল ইসলাম মাহি, মানিকগঞ্জ (দক্ষিণ) প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মা নদীর ভাঙনে বিলিনের পথে ধূলসড়া ইউনিয়নের ৪৬নং চর মকুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অর্ধশতাধিক বাড়িঘর। ইতোমধ্যে বেশ কিছু বাড়ি ও স্কুলের কিছু অংশ চলে গেছে নদী গর্ভে। ভিটেবাড়িসহ সর্বস্ব হারানোর পথে আরও অনেকেই। এদিকে কাজে আসছে না জিও ব্যাগ, জিও টিউব ও ডাম্পিংসহ সরকারি নানা পদক্ষেপ।স্থানীয়রা জানান, ২২ আগস্ট মঙ্গলবার রাত দুইটায় মকুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আংশিক ধ্বসে গেছে। এর আগে সোমবার রাত নয়টার দিকে ৩০ মিনিটের পদ্মা ভাঙনে ১২ টি বাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে অর্ধশতাধিক বাড়ি। অনেকের ফসলসহ বাড়িঘর পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে।স্থানীয় বাসিন্দা ও ধূলসুড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন জানান, আমাদের পদ্মা পাড়ের মানুষের দু:খের শেষ নেই। ১২টি পরিবার আজ নি:স্ব। গতকাল মধ্য রাত পর্যন্ত পদ্মাপাড়ে ছিলাম। রাত দুইটায় স্কুল ধ্বসে গেছে।ধূলশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদ খান বলেন, মঙ্গলবার রাত দুইটায় ৪৬নং চর মকুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আংশিক ধ্বসে গেছে। আবিধারা আর ইসলামের লোকজন ভাল নেই। বাড়িঘর অন্যত্র সরানো হচ্ছে। পদ্মা ভাঙন ঝুঁকিতে স্কুলসহ অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর। সোমবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার ধূলশুড়া ইউনিয়নের আবিধারা ও ইসলামপুর এলাকায় ভাঙনে নি:স্ব ১২ টি পরিবার। ১০০ মিটার ইটের রাস্তা পদ্মায় চলে গেছে।হরিরামপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাঈনুল হোসেন বলেন, সোমবার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে ৪৬ নং মকুন্দুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মঙ্গলবার রাতে বিদ্যালয়ের আংশিক পদ্মায় ধ্বসে পড়েছে। তবে চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চসহ মালামাল সরানো হয়েছে।হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত) তাপসী রাবেয়া বলেন, মঙ্গলবার রাত দুইটায় স্কুলের আংশিক পদ্মায় ধ্বসে গেছে বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আমি ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। তখন আমাদের সাথে এডিসি জেনারেল, পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীও ছিলেন।মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, বৃষ্টির মধ্যেও আমাদের লোকজন জিও ব্যাগের পাশাপাশি, জিও টিউব ও ডাম্পিং করছে। বাড়িঘরগুলো রক্ষা করতে আমরা কাজ করছি।