• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৮:৩০:২৩ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৮:৩০:২৩ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

পলাশবা‌ড়ীতে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মোগল আমলের ভাঙ্গামস‌জিদ

গাইবান্ধা প্রতি‌নি‌ধি: দেশের উত্তরের জেলা গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়‌নের  রাইতি নড়াইল গ্রামবাসীর সহযোগিতায় নিজ রূপ ফিরে পেয়েছে কয়েকশত বছরের প্রাচীন মসজিদের স্থাপনা, যা এলাকায় ভাঙ্গামসজিদ না‌মে পরিচিত।গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে ঢোলভাঙ্গা-আমলাগাছি বাজারমুখী রাস্তা দিয়ে আধা কিলোমিটার দূরে কাঁচা রাস্তার পূর্ব দিকে রাইতি নড়াইল গ্রামে গে‌লে দেখা মিল‌বে এই দৃ‌ষ্টি নন্দন মস‌জিদ‌টির। এখা‌নে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের পাশাপাশি বর্তমানে এই স্থাপনাটিকে গ্রামবাসী ঈদগাহ মাঠ হিসাবে ব্যবহার করেন।  ২০ শতাংশ জমির উপর এই  মসজিদটি অবস্থিত, যার মধ্যে তিন শতাংশ জমির উপর রয়েছে মূল ভবনটি। বা‌কিটা ঈদগাহমাঠ ও কবরস্থান। প্রতিদিনই পলাশবা‌ড়ীসহ আশেপাশের কয়েকটি থানার লোকজনের সমাগম ঘটে এই স্থান‌টি‌তে ।ভাঙ্গামসজিদটি নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম কল্পকাহিনী প্রচলিত। লোকমুখে প্রচার রয়েছে যে, ভাঙ্গামসজিদ একটি গায়েবি মসজিদ। গ্রামের অধিবাসীদের ধারণা, মসজিদের মূল ভবনটি মাটির নিচ থেকেই উঠে এসেছে। ভাঙ্গামসজিদের নামাজ পড়ে কোনো কিছু মানত করলে আল্লাহর রহমতে সেই আশা পূরণ হয় বলেও জানান স্থানীয়রা। সেই বিশ্বাসেই দিন দিন মসজিদে আগত অতিথিদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।তবে স্থানীয় অভিজ্ঞজনদের ধারণা, দৃ‌ষ্টি নন্দন এই মসজিদটি মোগল আমলে নির্মিত। সেই হিসেবে প্রায় ৪শ’ বছরের পুরানো মসজিদটি রাইতি নড়াইল গ্রা‌মের কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কালের আবর্তে এই স্থাপনার অনেক কিছুই নষ্ট বা হারিয়ে গেছে। তবে পরবর্তীকালে এই মসজিদটি সংস্কার করা হয়। প্রাচীন এ স্থাপনাটি বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে গ্রামবাসীর সার্বিক সহযোগিতায়।গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার বেতকাপা  ইউনিয়নের রাইতি নড়াইল গ্রা‌মে প্রাচীন এ স্থাপনাটি যুগের পর যুগ আপনরূপে দাঁড়িয়ে সৌন্দর্যের অনন্য নিদর্শন হয়ে থাকার পরেও আজও সেখানে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি সংস্কার অভা‌বে চলাচলের প্রায় অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।  সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নান্দনিক নির্মাণশৈলীর এই মসজিদটিকে ঘিরে একটি লাভজনক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে। এমনটাই ধারণা স্থানীয় স‌চেতন মহ‌লের।