• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৯:৩২:১২ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৯:৩২:১২ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

নরসিংদীতে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল রাবেয়াকে: পিবিআই

নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীর রায়পুরায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে রাবেয়া খাতুন (৫৩) নামে এক নারীকে হত্যা করে তিন যুবক। মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তে ধর্ষণ করা হয় ওই নারীকে। এমন চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নরসিংদী।৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদী পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য জানান, পিবিআই নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান।এর আগে, ২৫ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে পিবিআই। অপরাধীরা হলেন, রায়পুরার আদিয়াবাদ পিপিনগরের নাসির উদ্দিনের ছেলে মো. সুমন (২০), একই উপজেলার বাহেরচর পশ্চিম পাড়ার বকুল মিয়ার ছেলে জীবন (১৯) ও আব্দুর রহিমের ছেলে স্বপন (৫৫)।সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর সকালে নিজ ঘরের মেঝে থেকে গলায় কাপড় পেঁচানো ও উলঙ্গ অবস্থায় রাবেয়া খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ওই ঘরের পশ্চিম পাশে দুইটি সিঁধ কাটা ছিল। ঘটনার পরদিন নিহতের ছোট ভাই আমির হামজা বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় মামলা করেন। ক্লুলেস এই মামলাটির দীর্ঘ তদন্তে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় চলতি বছর ৩১ মার্চ মামলাটি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের আদেশক্রমে পিবিআইকে তদন্তভার দেয়া হয়। মামলাটি পিবিআইতে আসার পর তদন্তের এক পর্যায়ে চলতি গত ২৫ অক্টোবর নরসিংদী রেলস্টেশন থেকে সুমনকে (২০) গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে, এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট জীবন (১৯) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তারা ২৬ অক্টোবর নরসিংদী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তাদের দেয়া তথ্যে ওই ঘটনায় সম্পৃক্ত স্বপন (৫৫) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ও সিঁধ কাটার শাবল এবং ছেনি উদ্ধার করা হয়।পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে স্বীকার করে যে, পূর্ব বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সুমন, স্বপন, জীবন ও কামাল শাবল এবং ছেনি দিয়ে সিঁধ কাটে। সিঁধ দিয়ে কামাল ও সুমন ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। পরে তারা দুইজন ঘরে ঢুকে দরজা খুলে দিলে স্বপন ও জীবন ঘরে ঢুকে। এরপর, তারা ৪ জন মিলে ওই নারীকে হত্যা করে এবং হত্যার আগে সুমন তাকে ধর্ষণ করে।তদন্তে জানা যায়, নিহত রাবেয়া আসামী স্বপন ও কামালকে পূর্ববিরোধের কারণে জনসম্মুখে গালিগালাজ ও অপমানজনক কথা বলতো। এ কারণেই তাকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় কামাল নামে এক আসামী এখনো পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।