কুমিল্লায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ৬
কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন।২৩ নভেম্বর শনিবার দুপুরে কুমিল্লা আর্দশ সদর উপজেলার বাখরাবাদ গ্যাস আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চৌকস দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ চাপাপুর ও বারপাড়া (কৃষ্ণপুর) এর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২৩ নভেম্বর শনিবার আনুমানিক ১২টায় কুমিল্লা আর্দশ সদর জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বাখরাবাদ গ্যাস আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের (বারপাড়া) সাথে পার্শ্ববর্তী গ্রাম দক্ষিণ চাপাপুরের মধ্যে বিদ্যালয়ের মাঠে ফুটবল খেলা চলছিল। এক পর্যায়ে খেলার মধ্যে উভয় গ্রামের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মাঝে বাকবিতন্ডা থেকে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।বিদ্যালয়ে অবস্থিত স্থানীয় আনসার সদস্য ও বিজিডিসিএল’র সিকিউরিউটিদের সহায়তায় দুই দলের খেলোয়াড়দের মাঠ থেকে বের করে দিলে তারা যার যার গ্রামে চলে যায়। পরবর্তীতে দক্ষিণ চাপাপুর এলাকার ২০/২৫ জন ব্যক্তি দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র হাতে নিয়ে এসে মেডিকেল কলেজ রোড বারপাড়া (কৃষ্ণপুর) গ্রামের মানুষের উপর আক্রমণ চালায়।এ সময় দক্ষিণ চাপাপুর গ্রামের বহিরাগত ব্যক্তিদের বারপাড়া (কৃষ্ণপুরবাসী) জীবন রক্ষার্থে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বারপাড়া(কৃষ্ণপুর) গ্রামের আজিম মিয়ার পুত্র সায়েম(২০), সামির (১৩), আনোয়ার (৪২)সহ অনেকেই আহত হয় এবং দক্ষিণ চাঁপাপুর গ্রামের পেয়ার মিয়ার পুত্র সুজন (৩৫), নোয়াব মিয়ার পুত্র অপু (২২), আরিফুর রহমান আরবের পুত্র আরাফাত (১৭)সহ বারপাড়া (কৃষ্ণপুর) গ্রামের অনেকে আহত হন। আহত ব্যক্তিরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।উক্ত ঘটনায় বারপাড়া গ্রামবাসীর পক্ষে কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যায়। অভিযোগের বিষয়ে সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) খায়রুল মুঠোফোনে জানান, ফুটবল খেলাকে নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো। ভিডিও ফুটেজ দেখে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করা হবে। এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি সামাজিকভাবে সুরাহা করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।