আত্মগোপনে বরিশাল সিটির ১৩ কাউন্সিলর, সেবা বঞ্চিত সাধারণ মানুষ
বরিশাল প্রতিনিধি: গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান বরিশাল আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) অধিকাংশ কাউন্সিলরও রয়েছেন।পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে গত দুই সপ্তাহে অনেকে নগরীতে ফিরেছেন। তবে বেশিরভাগ কাউন্সিলর কার্যালয়ে যাচ্ছেন না। এতে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।নাগরিক সুবিধা সংক্রান্ত বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনসহ নানাবিদ নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। ২৩ আগস্ট বরিশাল মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান বাদী হয়ে বরিশালের কোতোয়ালি থানায় ৩৮১ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বিসিসির ১৩ কাউন্সিলরকেও আসামি করা হয়েছে। এ খবরে আবার গা ঢাকা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলররা। ফলে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ওইসব ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষ।তবে এক্ষেত্রে নগর ভবনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, ২৫ আগস্ট রোববার আমাদের নগর ভবনের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২৪/২৫ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত কাউন্সিলরদের এলাকা থেকে আমরা এখনও কোনো প্রকার অভিযোগ পাইনি।প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, কোনো ওয়ার্ড থেকে লিখিত অভিযোগের ভিত্তি ছাড়া আমরা কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারি না। তবে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম, ময়লা স্থানান্তরসহ নাগরিক সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।মামলায় আসামি হয়ে পলাতক থাকা কাউন্সিলররা হলেন সাইয়েদ আহমেদ মান্না, জিয়াউর রহমান বিপ্লব, সামজিদুল কবির বাবু, আউয়াল মোল্লা, কেফায়েত হোসেন রনি, খান মোহাম্মদ জামাল হোসাইন, জয়নাল আবেদীন, আনোয়ার হোসেন রয়েল, এনামুল হক বাহার, হুমায়ুন কবির, ইমরান মোল্লা, মজিবর রহমান, সুলতান মাহমুদ।