বিদেশি শিক্ষার্থীদের সাথে বাকৃবি প্রশাসনের আলোচনা সভা
বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা সভা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসময় বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিভিন্ন সমস্যা ও সেসবের সমাধান নিয়ে আলোচনা করে পারস্পরিক সম্পর্কের মজবুত ভিত্তি তৈরি করেন।৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় দুইজন বিদেশি মেধাবী শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। যাদের মধ্যে কৃষি অনুষদের সুধা ওয়াগলে পেয়েছে সিজিপিএ ৩.৯৩, যা এ পর্যন্ত বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং ভেটেরিনারি অনুষদের পুরুষত্তাম নারায়ন গৌতম পেয়েছে সিজিপিএ ৩.৯১। অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়া ও নেপালের ৬৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইন্টারন্যশনাল ডেস্কের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম।বিদেশি শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা তুলে ধরে তারা বলেন, ‘আমাদের কোনো নির্দিষ্ট আবাসনের সুবিধা নেই, ফলে আমাদের সবার থেকে আলাদা থাকতে হচ্ছে। এটি আমাদের শিক্ষার পরিবেশকে ব্যাহত করছে এবং আমরা পিছিয়ে পড়ছি। পরীক্ষার সময় হলে না থাকার কারণে বন্ধুদের থেকে সহজে সাহায্য নিতে পারছি না। এছাড়াও বাংলাদেশের ভাষা ও সংস্কৃতি শেখার ক্ষেত্রেও আমাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যারা হলে থাকছে তাদের মধ্যে রান্না নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যারা ক্যাম্পাসের বাইরে থাকছে তাদের নিরাপত্তা বিষয়টিও আমাদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’আমাদের আরও মনে হচ্ছে, সেমিস্টার ফি কিছুটা কমানো উচিত। পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিদায় অনুষ্ঠান ও কনভোকেশন নিয়মিত আয়োজন করা হলে তা ভালো হবে। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে পানির অপচয় বেশি হচ্ছে, যা কমানোর প্রয়োজন রয়েছে। তবে, ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক চালু হওয়ার কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া এবং ভর্তি হওয়া অনেক সহজ হয়েছে। এই ধরনের সমস্যা সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত হবে বলে মনে করছি।’বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া তার বক্তব্যে বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থীরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের যেকোনো সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা চাই, বিদেশি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও ব্যক্তিগত উন্নতির জন্য সেরা পরিবেশ তৈরি করতে। আমরা এই সহযোগিতামূলক পরিবেশকে আরও শক্তিশালী করতে এবং তাদের জন্য সুবিধাগুলো বৃদ্ধি করতে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।’