বগুড়ায় ঈশ্বরঘাট-কোদালপাড়া রাস্তার বেহালদশা
বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ঈশ্বরঘাট-ইসলামপুর হতে হেউডনগর কোদালপাড়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার পাকা সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় গর্ত। রাস্তাটিতে খানাখন্দ বেশি হওয়ায় হরদমই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে প্রায় ১১ বছর পূর্বে সড়কটি পাকা করা হয়। নির্মাণের পর থেকেই এই সড়কটিতে দীর্ঘদিন কোন সংস্কার কাজ না করায় খানাখন্দভরা রাস্তাটি দিয়ে চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।সড়কটি দিয়ে ৫ গ্রামের প্রায় ১২ হাজার মানুষ ও ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়তই যাতায়াত করে। খরা মৌসুমে ধুলোয় এবং একটু বৃষ্টি হলে কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যায় রাস্তাটি। যার ফলে পথচারীদের প্রতিনিয়তই পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে।ইউপি সদস্য রাকিব হাসান বলেন, এই রাস্তাটি ১১ বছর পূর্বে সড়কটি পাকা করা হয়েছে। ৩ থেকে ৪ বছর এলাকার লোকজন ভালো ভাবে যাতায়াত করতে পেরেছে। কিন্তু রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার কাজ না করায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।ভ্যান চালক রবিউল ইসলাম বলেন, এই রাস্তা দিয়ে ভ্যান চালাতে কষ্ট হয় রাস্তায় ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক সময় আমাদের ভ্যান গাড়ি নষ্ট হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে।পথচারী জিন্নাহ বলেন, আমার বয়স ৬০ বছর। রাস্তার যে অবস্থা হেঁটে চলাফেরা করতে না পারায় গাড়িতে করে যাতায়াত করি কিন্তু রাস্তা খারাপ হওয়ায় ঝাঁকি লাগে যার ফলে আমার বেশি কষ্ট হয়।কৃষক জোবেদ আলী বলেন, আমাদের কৃষি ফসল হাঁটে নিয়ে যেতে হয়। রাস্তা খারাপ হওয়ায় কোনো ভ্যানগাড়ি আমাদের কৃষি ফসল নিয়ে যেতে চায় না। আমরা কষ্ট করে সাইকেলে করে নিয়ে যায়। মাঝে মধ্যেই সাইকেল নষ্ট হয়।শিক্ষার্থী হাসান বলেন, এই রাস্তা দিয়ে গাড়িতে গেলে বেশি সময় লাগে তার চেয়ে হেঁটে যাতায়াত করে ভালো। রাস্তা খারাপ হওয়ায় আমরা সময় মত বিদ্যালয়ে যেতে পারি না।ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল সাজ রিজন বলেন, ইতোমধ্যেই সড়কটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট আবেদন করা হয়েছে। দ্রুত রাস্তা সংস্কার কাজ করা হবে।