• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৫:২২:১৮ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৫:২২:১৮ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

গাজীপুরে ২১ ফুট লম্বা কাঁঠালের ভাস্কর্য দেখতে মানুষের ভিড়

মোঃ মোরশেদ আলম, স্টাফ রিপোর্টার: এক ফুট বা দুই ফুট নয় ২১ ফুট লম্বা এবং ৯ ফুট প্রশস্ত বিশাল আকৃতির কাঁঠালের একটি ভাস্কর্য রিতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে। এটি এতো নিখুঁত ভাবে করা হয়েছে, দূর থেকে বোঝার উপায় নেই এটি ভাস্কর্য। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী কাঁঠালের ভাস্কর্যটি দেখতে সেখানে ভিড় করছেন। ভাস্কর্য দেখতে এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলের চারা গাছ। ব্যতিক্রমী এই কাঁঠালের ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর  বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) অভ্যন্তরে।১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে কাঁঠালের ভাস্কর্য দেখতে আসা জেসমিন আক্তার বলেন, কাশিমপুর এলাকায় একটি কারখানায় তিনি চাকরি করেন। এখানে কাঁঠালের বড় একটি ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে খবর পেয়ে দেখতে এসেছি। তার মতো আরো অনেকেই ভাস্কর্যটি দেখতে ভিড় করছেন। তবে শুক্র ও শনিবার সেখানে দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি হয়। ওই প্রতিষ্ঠানের কাঠালসহ বিভিন্ন জাতের চারা গাছের বিক্রিও বেড়েছে।কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, কাঁঠাল আমাদের দেশের জাতীয় ফল। এই ফলটি বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। কাঁঠাল ইউরোপে মাংসের বিকল্প হিসাবে খাওয়া হচ্ছে। দিন দিন ইউরোপে কাঁঠালের চাহিদাও বাড়ছে। গুণগতমানেও সেরা ও সুমিষ্ট ফল হিসেবে দেশের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরেও এ ফল রপ্তানি করা হচ্ছে। বৈদেশিক অর্থ অর্জনে কৃষকদের মধ্যে উৎপাদন বৃদ্ধির উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়ানোর জন্যই মূলত কাশিমপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) অভ্যন্তরে কাঁঠালের ভাস্কর্যটি তৈরির উদ্যেগ নেয়া হয়।  ভিড় করছেন।বিএডিসি'র উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্রে যুগ্ম পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গাজীপুরে প্রচুর কাঁঠাল উৎপাদন হয়। আমরা জাতীয় ফলকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য এটি তৈরি করেছি। এটি দেখতে প্রতিদিন দর্শনার্থী আসছেন। তারা দেখার পাশাপাশি কাঁঠালের চারাও বিক্রি বেড়েছে। ভাস্কর্য দেখা শেষে কাঁঠালের বিভিন্ন জাত সংগ্রহ করছে তারা ।বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের মহাব্যবস্থাপক (উদ্যান) মো. ইসবাদ বলেন, কাঁঠাল গাজীপুরে বেশ প্রসিদ্ধ। এই কাঁঠাল কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণের মধ্য দিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। কাঁঠালের বহুমুখী ব্যবহার যদি নিশ্চিত করা যায় তাহলে আমাদের আভ্যন্তরিন চাহিদা এবং বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব হবে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই কাঁঠালের ভাস্কর্য দেখে দেশের মানুষ কাঁঠালের গাছ লাগাতে উদ্ভুদ্ধ হবে। এতে উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।তিনি আরও বলেন, কাঁঠালের সবকিছু ব্যবহার করা হয়। পাতা, ফল, বিচি ও শিকর মানে সবকিছু ব্যবহার হয়। উন্নত রাস্ট্রের এবং মধ্যপাচ্যে কাঁঠালের বহুবিধ ব্যবহার হয় আমরা যদি সরকারি বা বেসরকারি সহায়তার মাধ্যমে কাঁঠালকে প্রতিক্রিজাত করে বাণিজ্যিকভাবে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আর্জন করা সম্ভব।