• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০১:০১:৩৩ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০১:০১:৩৩ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: কেউ ট্রলার মেরামত করছেন, কেউ ট্রলারে রং করছেন, কেউ ট্রলার ধোয়া মোচা করছেন, কেউবা আবার জাল বুনছেন, কেউবা আবার ট্রলারে জালসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম তুলছেন। এমনি ভাবে যাত্রার মাছ ধরার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রয়েছেন সাগর পাড়ের জেলেরা।৩ নভেম্বর রোববার মধ্যরাত থেকে শেষ হচ্ছে সাগর ও নদীতে মাছ ধরার উপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। তাই শেষ সময়ে সাগর যাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। যেন দম ফেলার ফুরসত নেই।জেলেসহ মৎস্য সংশ্লিষ্টদের আশা, এবার তাদের জালে ধরা পড়বে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। তবে নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে সরকারি প্রণোদনার চাল প্রকৃত জেলেরা পায়নি বলে দাবি তাদের। এছাড়া মৌসুমজুড়ে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা না পড়ায় ২২ দিনে কর্মহীন অনেক জেলে হয়ে পড়েছেন ধার দেনায় জর্জরিত ।ইলিশের বাঁধাহীন প্রজননের জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাগর ও নদীতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। এসময় সামুদ্রিক মাছ আহরণ, পরিবহণ, বিপণন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ছিল। ২২ দিনের অবরোধ সফল করতে তৎপর ছিল মৎস্য বিভাগ সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সাগর ও নদীতে অভিযান চালিয়ে অনেক জেলেকে জরিমানা ও কারাদণ্ড দিয়েছে মৎস্য বিভাগ। তাই সাগরে গিয়ে জাল ফেললেই জেলেদের জালে ধরা পড়বে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ বলে দাবি মৎস্য সংশ্লিষ্টদের।রাঙ্গবালী উপজেলার মৌডুবী এলাকার এক জেলে বলেন, অবরোধ মেনে আমরা এই ২২ দিন কর্মহীন সময় পার করেছি। এই নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের মাত্র ২৫ কেজি চাল দেয়া হয়েছে। পরিবারের ৫ জন্য সদস্য এই চাল দিয়ে কিছুই হয়নি। তাই এই ২২ দিনে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার মতো দেনায় পড়েছি।মহিপুরেররে আরেক জেলে হোসেন বলেন, আমি ৭ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত জেলে কাজ করি। কিন্তু সরকারি প্রণোদনা তালিকায় আমার নাম নেই। যারা অন্য পেশায় জড়িত দেখেছি তারা সরকারি চাল পেয়েছে। তাই প্রণোদনা তালিকায় প্রকৃত জেলেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, কলাপাড়ার নিবন্ধিত ১৮ হাজার ৩০৭ জন জেলেকে ২৫ কেজি করে সরকারি প্রণোদনা চাল দেয়া হয়েছে। অবরোধ শতভাগ সফল করতে সাগর ও নদীতে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করেছেন। আমরা আশা করছি জেলেরা প্রচুর পরিমাণে ইলিশ পাবে। তাদের ধার দেনা সহ পেছনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে।