খোকসাতে ভাগ্নের ইটের আঘাতে মামার মৃত্যু
খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার খোকসাতে পুকুরের মাছের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ভাগ্নের ইটের আঘাতে আহত মামা জহুরুল হক ডাবলু (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। নিহত ব্যক্তি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন এবং তিনি এ গ্রামের পচু বিশ্বাসের ছেলে।১৯ এপ্রিল শুক্রবার উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বেতবাড়িয়া গ্রামে শুক্রবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনায় অপর আহত ভাগ্নে লিংকন পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।শনিবার ২০ এপ্রিল রাতে আহত জহুরুল হক ডাবলু ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। জহুরুল নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হয়ে থানা পুলিশ শনিবার রাতে নিহতের বড় ভাই ফজলুল হক টুকু, ভাবি রুকসানা ও অপর এক নারীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।রবিবার নিহতের খবরে ছেলে সোহেলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার বাবাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে তারই ফুপুর ছেলে লিংকন জড়িত। পরিবারের অন্য সদস্যরা কেউ উৎসাহ জুগিয়েছে। কেউ শান্তি রক্ষার চেষ্টা করেছেন। দাফন শেষে মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।শনিবার রাত সাড়ে ৯টার পর পুত্রবধূ মিতা হক তার শ্বশুর জহুরুল হকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আগের দিন শুক্রবার সন্ধ্যার পর তার শ্বশুরের সাথে চাচা শ্বশুর ফজলুল হক টুকুর বিরোধ হয়। দুই পক্ষের হামলায় তার শ্বশুর জহুরুল হক ডাবলু ও লিংকন নামে তার এক ফুপু শ্বাশুরির ছেলে আহত হয়। ইটের আঘাতে আহত জহুরুলকে রাতেই ঢাকায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শনিবার সকাল ১০টার তার মাথায় অপারেশন করা হয়। সন্ধ্যার পর সেখানেই তার মৃত্যু হয়।নিহতের নিকট বড় ভাই তোফাজ্জেল হক জানান, ভাইদের মধ্যে সবার বড় ফজলুল হক টুকুর কাছে পুকুরের মাছ বিক্রির টাকা দাবি করে জহুরুল হক ডাবলু। টাকা না পেয়ে বড় ভাইয়ের উপর দুই দফা হামলা করে। সন্ধার পর দ্বিতীয় দফা হামলার সময় ভাগিনা লিংকন আহত হয়। এ সময় ইটের গাদার উপর পরে জহুরুল আহত হয়।তিনি আরও জানান, নিহত ছোটভাই জহুরুলের কাছে পরিবারের সবাই প্রতিনিয়ত নিগৃহীত হয়ে আসছে। এ দিনও সেই বড় ভাইয়ের উপর দুই দফা হামলা করে। ঠেকাতে গিয়ে ভাগ্নে হামলার শিকার হয়। এক পর্যায়ে জহুরুলও আহত হয়। নিহত মরদেহ নিয়ে ছেলে ফেরার পর মামলার বিষয়ে ভাবা যাবে।খোকসা থানা অফিসার ইনচার্জ আনুনর যায়েদ বলেন, মৃতদেহ এখনো মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতকে বাড়িতে পাঠানো হবে। এ হ্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। দু একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আনা হয়েছে। তবে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।