মালিকানা জমিতে এপ্রোচ সড়ক, বিপাকে জমির মালিক
জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি: সরকারি হালট ও খাস জমি দখল করে ভবন নির্মাণ করায় আড়াল হয়ে গেছে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নশাসন কীর্তিনাশা নদীর ওপরের ব্রিজ। এর রকম অভিযোগ ওঠা ভবনটি আসলে মালিকের নিজস্ব জায়গায়।২০ সেপ্টেম্বর বুধবার ১২টার সময় নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোহাম্মদ পারভেজ তার সার্ভেয়ার, স্থানীয় ভূমি অফিসের তসিলদার লোকাল আমিনের সমন্বয়ে অভিযোগ ওঠা ভবনের জমি পরিমাপ করে দেখেন যে ভবনটি মালিকানা জায়গায়তেই রয়েছে।শরীয়তপুর সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, তিন জেলা প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সাল থেকে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৯৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৭.৩২ মিটার প্রস্থের ব্রিজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। নির্মাণ কাজ চলাকালে ব্রিজটির পূর্ব পাড়ে সরকারি হালটের বড় একটি অংশ দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছিলো ডাক্তার গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে। পরে এ ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশ হলে নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ পারভেজ নিজে এসে নশাসন ইউনিয়নের তহশিলদার, সরকারি আমিন এবং স্থানীয় আমিনের সমন্বয়ে পরিমাপ করা হয়।জমি পরিমাপ শেষে নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোহাম্মদ পারভেজ গণমাধ্যমকে বলেন, এপ্রোচ সড়ক নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। পরে আমি একটা মাপের আয়োজন করি এবং উভয়পক্ষকে উপস্থিত থাকতে বলি। আমার সার্ভেয়ার অফিসের তহশিলদার এবং স্থানীয় আমিনের সমন্বয়ে মাপের আয়োজন করা হয়। মেপে আমরা যা পাই, তাতে বিল্ডিংটা ঠিকই আছে তার নির্ধারিত জায়গায়। আমাদের সরকারি জায়গা পাশেই আরও ছিল। এলজিআরডি যদি প্রথমেই আমাদের ভূমি অফিসের সাথে যোগাযোগ করতো তাহলে এপ্রোচ সড়কটি আরও সুন্দরভাবে করতে পারতো। এখন এলজিআরডি তাদের আইন অনুযায়ী সমস্যার সমাধান করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।এ ব্যাপারে ভবন মালিক ডা. গিয়াসউদ্দিন বলেন, ব্রিজের এপ্রোচ সড়ক হচ্ছে আমার জায়গার ভিতর দিয়ে। আর বিভিন্ন লোকজন আমার ভবন সরকারি হালটে পড়ছে বলে প্রচার করলো। অথচ ভবনের সামনে এপ্রোচ সড়কের ভিতর আমার জায়গা রয়েছে। এখন আমার ভবনের সামনে দিয়ে যদি এপ্রোচ সড়কের ঢাল যায় তাহলে আমার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে, আমি ঘর থেকে বের হতে পারবো না। সরকার যেন তার নিজস্ব জায়গা দিয়ে এপ্রোচ সড়কটি করে।শরীয়তপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তারের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমি এ ব্যাপারে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো, তারপর বিস্তারিত বলতে পারবো।