মুক্তা চাষে সাফল্যের স্বপ্ন দেখছে পাথরঘাটার শহিদুল
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি: মুক্তা একটি লাভজনক চাষ। গহনা হিসেবে বিশ্বে মুক্তার কদর রয়েছে। মাছ চাষের সঙ্গে মুক্তাও চাষ করা যায়। এটির জন্য প্রয়োজন হয় না অতিরিক্ত কোন জায়গা। ফলে মাছ চাষের সঙ্গে মুক্তা চাষ করে সাফল্যের স্বপ্ন দেখছেন বরগুনার পাথরঘাটার কাকচিড়া ইউনিয়নের শিংড়াবুনিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম।মুক্তা চাষী শহিদুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের ইউটিউবের ভিডিও দেখে মুক্তা চাষের প্রতি আগ্রহ জাগে। তারপর আমি একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ঝিনাইদা থেকে দশ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে আসি। প্রথমবারে আমি পরীক্ষামূলকভাবে ৩০০ ঝিনুকে মুক্তা চাষ করি। প্রথমবারে ঝিনুকে নিউক্লিয়াস ভালো না থাকায় খুব বেশি লাভবান হতে পারেনি। প্রথম পর্যায়ে প্রতি ঝিনুকে আমার খরচ হতো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, সেটা থেকে প্রাপ্ত মুক্তা বিক্রি করতাম ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।তিনি বলেন, এ বছর আমি ভারত থেকে নিউক্লিয়াস সংগ্রহ করে ৪ হাজার ঝিনুকে মুক্তা চাষ করেছি। আমার চাষ করা ৪ হাজার ঝিনুক থেকে ৮ হাজার মুক্তা সংগ্রহ করতে পারব। বর্তমান সময়ে একটি মুক্ত বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। তাহলে আমার ৮ হাজার মুক্তা বিক্রি করতে পারবো ৩০ লাখ টাকার অধিক। আমার সকল খরচ বাদ দিয়ে ২৭ লাখ টাকার অধিক লাভ হবে।তিনি আরও বলেন, আগামী অক্টোবর থেকে বাণিজ্যিকভাবে মুক্তা রফতানি করা যাবে। এরই মধ্যে দেশি ও বিদেশী বেশ কিছু কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছি। তারা আমার মুক্তা নেয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।মুক্তা চাষ দেখতে আসা আরিফ বলেন, শহিদুল ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম মুক্ত চাষ একটি লাভজনক চাষ। আমার ইচ্ছা আছে, আমি শহিদুল ভাইয়ের কাছ থেকে সকল প্রক্রিয়া জেনে নিয়ে মুক্তা চাষ করব।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, শহিদুল ইসলামের মুক্তা চাষের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে সার্বিকভাবে মৎস্য বিভাগ থেকে তাকে পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছি। তাকে আমরা একটা প্রদর্শনী দিয়েছি। তার স্বপ্ন বাস্তবের পথে রয়েছে। বেশ কিছু পুকুরে দ্রুত সময়ে মুক্তা চাষ শুরু করা হবে। আগ্রহী যে কাউকে মৎস্য অফিস থেকে এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।