• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১২:৪৩:২৪ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১২:৪৩:২৪ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দেয়া হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভাড়া

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ১০ বছরের জন্য ভাড়া দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে ঢেকে পড়ছে ভবনের মূল নামফলক। এই নিয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মনে প্রশ্ন উঠেছে। ভৈরব উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়ার কথা। আর তৃতীয় তলায় হওয়ার কথা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের দাফতরিক কার্যালয়। কিন্তু ভবনটিতে এর কোনোটিই হয়নি। পুরো ভবনে চলছে একটি রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড রিসোর্ট।মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে দেশের সব কটি জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ভৈরবেও এ ভবনটি তৈরি করা হয়। সরকারি ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা অর্থায়নে ভবনটি নির্মাণ করা হয়।১০ বছরের চুক্তিতে ভাড়া নিয়ে জান্নাত রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড রিসোর্ট-এর দ্বিতীয় শাখার সেখানে এমনভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে যে, দেখে মনে হয় পুরো ভবনটিই তাদের দখলে। রিসোর্ট প্রতিষ্ঠানটি নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে ভবনের কিছু অংশ পরিবর্তনও করেছেন। তাদের ব্যানার-সাইনবোর্ডে ঢাকা পড়েছে ভবনের সামনের নাম ফলকের।২০২৩ সালের ২০ আগস্ট ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে তাতারকান্দি এলাকায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনতলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়।এর আগেই মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালের ৯ জুন সারা দেশের উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন ভাড়া ও ব্যবহার সম্পর্কিত একটি পরিপত্র জারি করেছিল। পরিপত্রে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের তৃতীয় তলায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের দাফতরিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় তলা দোকানের জন্য ভাড়া দেওয়া যাবে। প্রতিষ্ঠানের অমর্যাদা হয় এমন কোনো কাজে ভবনটি ব্যবহার করা যাবে না। তবে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে জান্নাত রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড রিসোর্টের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছে পুরো ভবনটি।সরেজমিনে দেখা যায়, ভৈরব উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনের অংশ ও সীমানা প্রাচীর এমনভাবে সাজানো হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে একটি জান্নাত রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড রিসোর্টের নিজস্ব ভবন। ভবনের সামনের পুরো অংশই রিসোর্টের নাম সংবলিত বিলবোর্ড টাঙানো হয়েছে।ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা তালওয়াত হোসেন বাবলা বলেন, আগের ইউএনও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে মৌখিক চুক্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সটি রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড রিসোর্টের জন্য ভাড়া দেন। এখন রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ কমপ্লেক্সটিতে যেভাবে সাইনবোর্ড ও দেয়াল লিখন করেছে তাতে বোঝার উপায় নেই এটি রিসোর্ট না মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স।ভৈরব জান্নাত রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী মোশারফ হোসেন মিন্টু ফোনে বলেন, ১০ বছরের চুক্তিতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবনটি রিসোর্টের জন্য ভাড়া নিয়েছি। ভবনটিতে ১৩টি আধুনিক ডিজাইনের রুম করা হয়েছে। রিসোর্টের সাইনবোর্ডে যদি ভবনের নামফলক ঢেকে যায় তাহলে নতুনভাবে বড় করে সাইনবোর্ড তৈরি করে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা বিনতে মতিন জানান, সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কমিটির মাধ্যমে নিয়ম অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম ফলকের সাইনবোর্ডে যদি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নামফলক ঢেকে যায় তাহলে এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।