মেহেরপুরে বিক্রয় হয়নি ছাগলের চামড়া
মেহেরপুর প্রতিনিধি: মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল আজহা পরিপূর্ণ মর্যাদার সাথে পালিত হয়েছে। ঈদের নামাজ শেষে করে শুরু হয় পশু কোরবানি। আর কুরবানি পশুর চামড়া ক্রয়ের জন্য দেখা যায় ব্যবসায়ীদের আনাগোনা। তবে দিন দিন এই চিত্র উল্টে যাচ্ছে। অনেক ব্যবসায়ী লোকসানের ভয়ে চামড়া কিনছে না।মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় এবার কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে দেখা দিয়েছে বেহাল দশা। এমন দশা হয়েছে যে চামড়া কেনার ক্রেতাও তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকে বলছে বিক্রি করতে না পারলে মাটিতে পুঁতে রাখবো। তাছাড়া চামড়ার দাম এতই কম যে বিক্রয় করতে মনও চাচ্ছে না।সরেজমিন ঘুরে বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে গরুর চামড়ার আকার ভেদে দাম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, আর ছাগলের চামড়া ১০ থেকে ২০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। তাছাড়া কোথাও কোথাও বাগানে বা বাড়ির সামনে ছাগলের চামড়া রাখা হলেও কেউ নিচ্ছে না টাকা ছাড়াও।রোকনুজ্জামান বলেন, এত কম টাকায় চামড়া বিক্রয় করার চেয়ে মাটিতে পুতে রাখা ভালো। চামড়ার যে মূল্য হয় সেই পরিমাণ টাকা দান করে দেব। তাছাড়া চামড়া কেউ কিনতেও চাচ্ছে না। এর আগে যে চামড়ার কদর ছিল এখন আর সেই কদর নেই।রহমত আলী বলেন, ঈদুল আজহার নামাজ শেষ করেই কুরবানির পশু যবেহ করা শুরু হয়েছে। দিন শেষ হলেও চামড়ার দামের বাড়তি না পাওয়ায় কম দামেই বিক্রি করতে হয়েছে। চামড়া ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, ছাগলের চামড়ার দাম ২০ টাকা করে। চামড়ার দাম কম হওয়ার কারণে বিক্রয়ের আগ্রহ হারিয়ে যাচ্ছে।ব্যবসায়ী মোহা. ইয়াছিন আলী বলেন, আমরা সব সময়ই চামড়া ঝুঁকিতেই কিনছি বিক্রয় করতে পারবো কিনা জানিনা। যদি দাম ভালো না পাওয়া যায় তাহলে লোকসান গুনতে হবে। ছাগলের চামড়া মাপ অনুযায়ী ১০ থেকে ২০ টাকা ধরে ক্রয় করেছি। চামড়ার চেয়ে লবণের দাম বেশি। তাই আমরা ক্রয় করে অন্য ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রয় করে থাকি।আরেক ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, গরুর চামড়ার মাপ অনুযায়ী ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। আমরা যদি বিক্রয় করতে না পারি তাহলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে।প্রাইমারি স্কুলের মাস্টার মতিন বলেন, আমাদের গরু কোরবানি ছিল। চামড়া ৬০০ টাকায় বিক্রয় করেছি। এর উপরে আর কেউ দাম দিচ্ছে না। ছাগলের চামড়া নিতে চাইছে না। বাগানের ছাগলের চামড়া পড়ে আছে কেউ নেয়নি।