• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৯:৩৬:৪৫ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৯:৩৬:৪৫ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

‘প্রথম শ্রেণির পৌরসভার রাস্তা তৃতীয় শ্রেণির!’

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: কাগজে কলমে সৈয়দপুর প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও শহরের রাস্তাঘাট দেখে তা বোঝার কোন উপায় নেই। শহরের প্রায় প্রতিটি সড়কেরই বেহাল অবস্থা। স্থানীয়রা বারবার দাবি করলেও কতৃপক্ষ কোন উদ্যোগই গ্রহণ করছে না।খানা-খন্দকে ভরা শহরের শেরে বাংলা সড়ক, শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক, শহীদ ডা. শামসুল হক সড়ক ও বিচালীহাটি সড়কটি চলাচলের একবারে অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এসব সড়কে চলাচলকারী রিক্সা, ভ্যন ও গাড়িতে প্রতিদিনেই ঘটছে দুর্ঘটনা।কথা হয় স্থানীয় অটোরিক্সা চালক সাইদুলের সাথে। সে বলে রাস্তা ভাঙ্গা হওয়ায় কয়েকদিন আগে ঝাঁকুনিতে এক যাত্রীর বাচ্চা প্রসব হয়ে গেছে। অনেকসমই যাত্রীরা আমাদের ঝাঁকুনির কারনে চড়-থাপ্পর মাড়েন।অটোরিক্সা চালক মফদুল জানান, ভাঙ্গা রাস্তায় যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে । যাত্রীরা ভাঙ্গার করনে অনেকসময় রিক্সাথেকে পড়ে যান। গত শনিবার কিশোরগঞ্জের জয়পুরহাট কলেজের এ ছাত্র রিক্সায় করে স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে ঝাঁকুনিতে পড়ে গিয়ে মারাত্মক আহত হয় সে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। আহত হওয়ার কারনে সে তার পরীক্ষাও দিতে পারেনি।সৈয়দপুর বনিক সমিতির সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী জানান, শুধু শহরের রাস্তা নয় মহল্লার কোন রাস্তাও এখন আর চলাচলের উপযোগী নেই। মেয়র দায়িত্ব নেয়ার ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও শহরে দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি।পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রথম শ্রেণির পৌরসভার রাস্তা কেন তৃতীয় শ্রেণির হবে? পৌরসভার আয় হচ্ছে, ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে, নকশা অনুমোদনে মোটা অংকের টাকা নেয়া হচ্ছে, হাজার হাজার অটো রিক্সার লাইসেন্স ফি বাড়ানো হয়েছে, রিক্সার ফি বাড়ানো হয়েছে। এ আয় থেকে কোটি কোটি টাকা আয় হয়েছে কর্পোরেশনের । কেবল রাস্তাঘাটেরই কোন উন্নয়ন হয়নি। মেয়রের কাছে আমার প্রশ্ন পৌরবাসী কেন দুর্ভোগ পোহাবে।আওয়ামী লীগ নেতা সরকার কবীর উদ্দিন ইউনুস বলেন, পৌরসভায় এখন হরিলুট চলছে। কোন উন্নয়ন প্রকল্প নেই, দুএকটি কাজ হলেও আছে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ। শুনেছি নামসর্বস্ব পত্রিকায় টেন্ডার নোটিশ দিয়ে গোপনে ম্যানেজ করে কাজ দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পৌরবাসি বর্ষায় ছিলো পানিবন্দী, হাঁটু পানি ছিলো প্রত্যেকের ঘরে। আর রাস্তা দখলে আপনার মনে হবে ছোট কোন ডোবা বা পুকুর।সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম বলেন, আমার এখন অবসরে যাওয়ার সময় হয়েছে, তাই রাস্তা বা অন্য কোন বিষয়ে আমি কোন বলতে চাই না। এ ব্যাপারে মেয়রের সাথে কথা বলতে পরেন, উনি ভালো বলতে পারবে।রাস্তার বেহাদ দশা নিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবীর সাথে। তিনি বলেন, আমাদের এখানে রাস্তার কিছু সমস্যা আছে। এখন বর্ষা কাল, বর্ষা শেষ হলেই আমরা একে একে সবগুলো রাস্তার কাজ শুরু করবো।