• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:১০:৩২ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:১০:৩২ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্য, আন্তর্জাতিক জার্নালে রিপোর্ট

রাজস্থলী (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি: ভারতের খ্যাতনামা জার্নাল ‘Indian Journal of Integrative Medicine’-এ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে “Clinical Efficacy of Homeopathy in the Treatment of Simple Kidney Cysts” শিরোনামের একটি কেইস রিপোর্ট। যেখানে কিডনি সিস্টের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথির কার্যকারিতা সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।এই গবেষণাপত্রে প্রমাণিত হয়েছে, সার্জারির বিকল্প হিসেবে হোমিওপ্যাথি কিডনি সিস্টের ক্ষেত্রে একটি সফল এবং নিরাপদ চিকিৎসা পদ্ধতি হতে পারে। বাংলাদেশের তিনজন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও গবেষক এবং কোস্টারিকার একজন গবেষক একত্রে এই কেইস নিয়ে গবেষণা করেছেন, যা হোমিওপ্যাথির সম্ভাবনাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।গবেষণাটির প্রধান লেখক ডা. অশ্রু কণা চৌধুরী, চট্টগ্রামের ডা. জাকির হোসেন সিটি কর্পোরেশন হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং চট্টগ্রাম শহরে রানী হোমিও ফার্মেসী, ২৩ কাপাসগোলা রোড, চকবাজার এবং রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজারে মায়া হোমিও ফার্মেসী নামে দুইটি চেম্বার পরিচালনা করেন। করেসপন্ডিং সহ-লেখক ডা. মো. মাজহারুল ইসলাম, যিনি চট্টগ্রামের মেরিন ফিশারিজ একাডেমির প্রশিক্ষক এবং চীনের Xiamen University তে সমুদ্র বিষয়ক পিএইচডি গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন। তৃতীয় সহ-লেখক ডা. নূর-ই-আলম রাসেল, যিনি ঢাকার সরকারি হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্লিনিকাল মেডিসিন বিভাগের লেকচারার। চতুর্থ সহ-লেখক লিনেট মারিয়া আলফারো কর্দেরো, যিনি কোস্টারিকার বারিয়েল এলাকায় পিমা অফিসে এগ্রোনমিস্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং মার্কেট ডেভেলপমেন্টে কাজ করছেন।গবেষণাটি একটি ৪০ বছর বয়সী পুরুষ রোগীর ওপর পরিচালিত হয়, যিনি পিঠের তীব্র ব্যথা ও প্রস্রাবের সমস্যায় ভুগছিলেন। আলট্রাসাউন্ডে তার কিডনিতে একটি সিস্ট ধরা পড়ে। চিকিৎসা শুরু হয় প্রধান এন্টিসোরিক মেডিসিন Psorinum 200 দিয়ে, যা রোগীর মায়াজমের উপর কাজ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক হয়।এরপর প্রস্রাবজনিত সমস্যাসহ লক্ষণের বিভিন্নতায় Lycopodium clavatum দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। সবশেষে Thuja occidentalis 50M দিয়ে সিস্টের উন্নতি নিশ্চিত করা হয়। দশ মাসের চিকিৎসায় রোগী উল্লেখযোগ্য উন্নতি লাভ করেন এবং পরবর্তী আলট্রাসাউন্ডে সিস্ট পুরোপুরি নিরাময় হয়।ডা.অশ্রু কণা চৌধুরী বলেন, এই কেস স্টাডি প্রমাণ করে, হোমিওপ্যাথি কেবল উপসর্গই নয়, রোগের অন্তর্নিহিত কারণগুলোরও সমাধান করে এবং সার্জারির বিকল্প হিসেবে হোমিওপ্যাথির ভূমিকা কিডনি সিস্টসহ বিভিন্ন জটিল রোগের ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে।ডা. মো. মাজহারুল ইসলাম উল্লেখ করেন, বিশ্বজুড়ে সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা মডেলের দিকে মানুষ ঝুঁকছে এবং হোমিওপ্যাথির গুরুত্বকে বাড়িয়ে তুলছে। এজন্য আমাদের নিয়মিত গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে যাতে এর গ্রহণযোগ্যতা আরও সুদৃঢ় হয়। এই গবেষণাপত্রটি বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের জন্য একটি বড় অর্জন, যা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমাধানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবদানকে তুলে ধরে।