• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:১৬:২২ (23-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:১৬:২২ (23-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

সংবাদ প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে মাহমুদপুর বি.এল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে অর্থ আদায়ের ঘটনা নিয়ে গত ৯ মার্চ রোববার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর পরীক্ষার্থীদের ডেকে আদায়কৃত টাকা ফেরত দিয়েছে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ।১২ মার্চ মঙ্গলবার উপজেলার মাহমুদপুর বি.এল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ডেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে আদায়কৃত ওই টাকা তাদের ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমএইচ নূরুন্নবী চৌধুরী রতন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জেলা শিক্ষা অফিসার আমান উদ্দিন মন্ডল।টাকা ফেরত পাওয়ার পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক বলেন, ‘আমরা সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন সাহসী সংবাদ প্রকাশ করার জন্য। আপনারা সংবাদ প্রকাশ করেছেন বলেই স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের টাকা ফেরত দিয়েছে।’শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘তবে এঘটনা নিয়ে আবার ভয়ও হচ্ছে, স্যারেরা যদি রাগ করে আমাদের ব্যবহারিক পরীক্ষায় নাম্বার কম দেন! আমরা স্যারদের অনুরোধ জানাচ্ছি, আমাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দয়া করে এমনটা করবেন না।’বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমএইচ নূরুন্নবী চৌধুরী রতন বলেন, ‘শুধু আমাদের স্কুলেই নয় প্রতিটি স্কুলেই প্রাকটিক্যালের জন্য ২শ/৩শ টাকা করে নেওয়া হয়। তবে আমাদের স্কুলে যা নেওয়া হয়েছে তার পরিমাণটা একটু বেশি হয়েছে। আমি স্কুলে গিয়ে সব শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। পরে সকল শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দিতে বলেছি। তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।’উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জেলা শিক্ষা অফিসার আমান উদ্দিন মন্ডল বলেন, ‘টাকা নিয়েছিল বিষয়টি সঠিক। তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের ডেকে তালিকা করে টাকা ফেরত দিচ্ছে।’উল্লেখ্য, মাহমুদপুর বি.এল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার মোট ১২০ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে বিজ্ঞান বিভাগের প্রত্যেক পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৬শ’ টাকা এবং মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩শ’ টাকা করে আদায় করা হয়েছিল।