আদালতে জবানবন্দি দেয়নি শিশু মুনতাহার খুনি মার্জিয়া
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট: সিলেটের কানাইঘাটের আলোচিত শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন (৫) হত্যা মামলায় অভিযুক্ত চার আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ১৫ নভেম্বর শনিবার আদালতে হাজির করে পুলিশ। দুপুর একটার দিকে কড়া পুলিশ পহরায় চার আসামিকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের বিচারক ওমর ফারুকের আদালতে তাদের হাজির করা হয়।এদের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫) আজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেননি। পরে আসামিদেরকে কারাগারে পাঠানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারক। সিলেট জেলা জজ আদালতের ইন্সপেক্টর মো. জমসেদ আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।মো. জমসেদ আহমদ বলেন, প্রয়োজন মনে করলে পুলিশ ফের তাদের রিমান্ড চাইবে। আদালত সূত্র জানায়, মুনতাহা হত্যা মামলার চার আসামিকে ১১ নভেম্বর আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।পুলিশের একটি সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে প্রধান অভিযুক্ত মার্জিয়া নিজের দোষ স্বীকার করেন এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবে বলে পুলিশকে জানায়। কিন্তু আদালতে এসে জবানবন্দি দেননি তিনি। পরে আসামিদের কারাগারে পাঠান বিচারক।প্রসঙ্গত, ৩ নভেম্বর সকালে মেয়ে ও ছোট ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার জলসা থেকে বাড়ি ফেরেন কানাইঘাট উপজেলার বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদ। এরপর মুনতাহা প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও আর বাড়ি ফেরেনি মুনতাহা। খেলার সাথীরা ও মুনতাহার বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি। নিখোঁজের আটদিন পর রোববার ভোরে বাড়ির পাশের একটি নালা থেকে মুনতাহার নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় শিশুটির গলায় রশিজাতীয় কিছু প্যাঁচানো ছিল। এ ঘটনায় শনিবার কানাইঘাট থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি অপহরণ মামলা করেন।মামলার আসামিরা হলেন- কানাইঘাট থানার বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার স্ত্রী আলিফ জান (৫৫) ও তার মেয়ে শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫), একই এলাকায় ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও নাজমা বেগম (৩৫)।