শিবালয়ে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ও শিশু ধর্ষণ চেষ্টায় কলেজ শিক্ষকসহ দুজন গ্রেফতার
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জ শিবালয় সদর উদ্দিন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওই কলেজের শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনকে এবং একই উপজেলার তেওতা ইউনিয়নে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আব্দুল কুদ্দুস (৫৬) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে তাদের গ্রেফতার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ এ,আর,এম,আল মামুন। অভিযোগে জানা গেছে, শিবালয় সদর উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন গত ২৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় বোয়ালী ডাক্তার খানায় তার ব্যক্তিগত কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ানোর সময় কলেজের মানবিক শাখার দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায়। এর আগেও ওই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময় নানাভাবে কু-প্রাস্তাব দিতেন ওই শিক্ষক।ঘটনার দিন শিক্ষক দেলোয়ার ওই শিক্ষার্থীকে সাজেশন দেওয়ার কথা বলে কোচিং সেন্টার থেকে পরে বের হতে বলে। পড়া শেষে সে শিক্ষকের কথা মতো কোচিং সেন্টারে বসে থাকে। অন্য শিক্ষার্থীরা চলে যাবার পর শিক্ষক তাকে আবার কু-প্রস্তাব দেয়। এতে ওই শিক্ষার্থী রাজি না হলে শিক্ষক শ্লীলতাহানী করার উদ্দেশ্যে ওই শিক্ষার্থীর হাত ধরে টানাটানি করতে থাকে এবং জোরপূর্বক তার মুখের হিজাব খুলে ফেলে। এরপর কৌশলে সে ওখান থেকে বেরিয়ে এসে ইজ্জত রক্ষা করে।এ ব্যাপারে শিবালয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।এর আগেও শিক্ষক দেলোয়ারের বিরুদ্ধে তিন নারী শিক্ষার্থী শ্লীলতাহানির অভিযোগ করে তৎকালীন জেলা প্রশাসকের বরাবরে অভিযোগ করেছিলেন। একই দিন শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একই এলাকার বাবুর পয়লা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস (৫৬) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৯ অক্টোবর মঙ্গলাবার দুপুরে তাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসি এ,আর, এম, আল মামুন।শিবালয় থানার ওসি এ,আর,এম আল মামুন ঘটনা দু’টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বাবুর পয়লা এলাকায় ধর্ষণ চেষ্টা এবং শিবালয় সদর উদ্দিন কলেজ শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিবালয় থানায় পৃর্থক দুটি মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।