• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ০৮:৪৫:৩৭ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ০৮:৪৫:৩৭ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

মতলবে পাটের বাম্পার ফলন হলেও দামে হতাশ কৃষক

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সোনালি আঁশ পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা  খুশি। তবে দাম নিয়ে শঙ্কায় আছেন স্থানীয় কৃষকরা। গতবারের চেয়ে মণপ্রতি পাটের দাম ১ হাজার টাকা কম পাচ্ছেন চাষিরা। কৃষকদের দাবি, যত শিগগির সম্ভব, পাটের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হোক।উপজেলায় ইতোমধ্যে পাট কাটা শুরু হয়েছে। অনেকে আবার জলাশয়ে জাঁক দেওয়া পাট গাছ থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছেন। কিন্তু অনেক পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সঠিক দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় ক্ষেত থেকে কৃষকেরা পাট কাটছেন। কোথাও মাঠ থেকে কাটা পাট অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন। কোথাও চলছে পাট পঁচানোর প্রস্তুতি। আবার কোথাও পঁচানো পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে।কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক বছর আগেও চাষিরা পাট চাষ করে লোকসানে পড়েছিলেন। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকে পড়েন। মাঝে স্বল্প পরিসরে যারা আবাদ ধরে রেখেছিলেন, তারাই লাভবান হয়েছেন। তাদের দেখেই অন্যরা আবারো পাট চাষে ফিরেছেন। গত বছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় চলতি মৌসুমে অনেক চাষি পাট চাষের দিকে ঝুঁকেন। তাছাড়া অনুকূল আবহাওয়ায় ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু পাটকলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ বছর দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।মতলব উত্তর উপজেলার সুগন্ধি গ্রামের পাট চাষি মো. আলাউদ্দিন (৪৮) এবার ২৫ শতাংশ জমিতে পাট চাষ করেছেন। তিনি বলেন, আমি প্রতি বছরই পাট চাষ করে থাকি। ফলন এবার ভালো হয়েছে। কঠিন পরিশ্রম করে পাট আবাদ করি। কিন্তু বাজারে পাটের দাম অনেক কম।আমান উল্লাহ (৫০) নামে আরেকজন বলেন, গত বছর দুই বিঘা জমিতে পাট আবাদ করে কিছুটা লাভ হয়েছিল। এবার আবাদ বাড়িয়েছি। কিন্তু এখন দেখছি আগের মণপ্রতি থেকে ১ হাজার টাকা কমে গেছে। সরকার যদি দাম না বাড়ায় তাহলে পাটের আবাদ থেকে সরে আসতে হবে।পাটের ফলন ভালো হওয়ায় এলাকার মৌসুমী শ্রমিকদের ব্যস্ততাও বেড়েছে। সুগন্ধি গ্রামের রোশন আরা বেগম, বেনু বেগম ও খোশেদা বেগম জানান, এক আঁটি জাঁক দেওয়া পাট থেকে আঁশ ছাড়িয়ে ২০ টাকা পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে দিনে ১০০ থেকে ১২০ টাকা টাকার মতো আয় হয় তাদের।এদিকে পাইকাররা বলছেন, মিল মালিকরা পাটের সঠিক দাম দেয় না। পাশাপাশি গত বছরের বিলও বকেয়া রয়ে গেছে। তাই কৃষকদের কাছ থেকে কম মূল্যে পাট ক্রয় করতে হচ্ছে।জানা যায়, গত বছর মণপ্রতি ২ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় কৃষকরা পাট বিক্রি করেছেন। এবার তা কমে ২ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। এদিকে চলতি মৌসুমে উপজেলায় পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ২৮০ হেক্টর জমিতে ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ১৮০ হেক্টর জমিতে। তার মধ্যে দেশীয় জাত পাট ৯০ হেক্টর, তোষা পাট ৮৫ হেক্টর, অন্যান্য ৫ হেক্টর।মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন এবার আশানুরূপ হয়েছে। কৃষকরা এখন পাটের দাম কিছুটা কম পাচ্ছে। কৃষকরা যদি তাদের উৎপাদিত পাট কিছুদিন মজুদ রাখে, তাহলে আশা করি, দাম আরও বাড়বে।