লালমনিরহাটে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
লালমনিরহাট প্রতিনিধি: স্ত্রীকে হত্যার দায়ে লালমনিরহাটে জহুরুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।৩১ জুলাই বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় দেন।রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আকমল হোসেন ।সূত্রমতে, আসামি জহুরুল ইসলাম আদিতমারী উপজেলার টেপা পলাশী এলাকার মৃত জমশের আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর মুশরত মদাতী এলাকার বাসিন্দা। জহুরুল প্রায়ই জসির আলী ও সামছুল হকের প্ররোচনায় তার স্ত্রী মুন্নুজান আরা ফেন্সীকে মারপিট করতো। ২০২১ সালের ৬ জুন সকালে আসামি জহুরুল উল্লিখিত ব্যক্তিদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে। এরপর স্ত্রী ফেন্সীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সে সময় ফেন্সী তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আসামি জহুরুল ক্ষেপে গিয়ে টিউবওয়েল এর হাতল দিয়ে স্ত্রী ফেন্সীর মাথায় আঘাত করে। ফলে ফেন্সী তার মাথায় গুরুতর জখম হয় এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।মাকে ওই অবস্থায় দেখে ওই দম্পতির ছেলে জিহাদ চিৎকার দিলে তার মামা অর্থাৎ আসামি জহুরুলের শ্যালক টিক্কা খান লিটনসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পলায়নরত জহুরুলকে আটক করে। এরপর ফেন্সীকে গুরুতর জখম অবস্থায় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) রেফার করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিনই দুপুরে তার মৃত্যু হয়। পরে আসামি জহুরুলের শ্যালক ও ফেন্সীর ভাই টিক্কা খান লিটন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আকমল হোসেন বলেন, ‘যদিও হত্যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কিন্তু আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ায় তাকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।’