কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
মিরপুর ও ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় প্রাইভেট কারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী রাহাত ইসলাম পলাশ (৩০) ও মো. ফাহিম অনিক (২৩) নামের দুই যুবক নিহত হয়েছেন। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।১ এপ্রিল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় আহত হয়ে তানভীর গণি (২৩) নামের আরও ১জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন।নিহত পলাশ কুষ্টিয়া শহরের মোল্লাতেঘরিয়া এলাকার আসাদুল ইসলাম মোল্লার ছেলে। তিনি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিতে সাভারে কর্মরত ছিলেন। অনিক শহরের কমলাপুর এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি পড়াশোনা শেষ করে ফ্রিল্যান্সিং করতেন। নিহতরা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে বলে জানা গেছে।নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।ওসি মো. মোশারফ হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে মোটরসাইকেল আরোহী তিনজন চাচাতো ভাইয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে জিলা স্কুলের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি প্রাইভেট কার তাদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাহাত ইসলাম পলাশকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে মো. ফাহিম অনিক নামের আরও একজন মারা যায়। অপর আহত তানভীর গণি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।এর আগে ১ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়ার খোকসায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ফরিদুল ইসলাম নামের এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়।জানা যায়, খোকসার বিজলানি বাজারে বেপরোয়া গতির একটি মোটরসাইকেল ভ্যানচালক ফরিদুলকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে ফরিদুলের মৃত্যু হয়।