• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০১:০১:৩৯ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০১:০১:৩৯ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

পদ্মাসেতুর তিন বছরেও ভাগ্য বদলায়নি শরীয়তপুরবাসীর

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের জাজিরা টিএনটি মোড় থেকে পদ্মাসেতু গোলচত্বর পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার অংশের সড়ক প্রকল্পের কাজ তিন বছরেও শেষ হয়নি। এখন পর্যন্ত হয়েছে মাত্র ২৭% কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে পদ্মাসেতু চালু হয়েছে ঠিকই কিন্তু ভাগ্য বদলায়নি শরীয়তপুরবাসীর।পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কে বেড়েছে যানবাহন। কিন্তু সড়কটি সরু আর বড় বড় গর্ত হওয়ায় বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা এবং রৌদ্র হলে ধুলায় ধূসর যায়। তাই চরম ভোগান্তিতে রয়েছে ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীসহ সড়ক ব্যবহারকারীরা। আর ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন। ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা।শরীয়তপুর সদর থেকে জাজিরার নাওডোবা পদ্মাসেতুর গোলচত্বর পর্যন্ত সড়কটি ২৭ কিলোমিটার। এরমধ্যে জাজিরা টিএনটি মোড় থেকে পদ্মাসেতু গোলচত্বর পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার অংশের সড়ক প্রকল্পের কাজ চলছে ধীর গতিতে।জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি ১৬৮২ কোটি ৫৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয়ে তিনটি প্যাকেজের মাধ্যমে দুইটি সেতুসহ সড়কটির কাজ শুরু হয়। প্রথমটি শরীয়তপুর শহরের ফায়ার সার্ভিস থেকে জাজিরা টিএনটি মোড় পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার, দ্বিতীয়টি কোটাপাড়া সেতু ও কাজিরহাট সেতু এবং তৃতীয়টি জাজিরা টিএনটি মোড় থেকে নাওডোবা পদ্মাসেতু গোলচত্বর পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার। তিনটি প্রকল্পে দুই দফা কাজের মেয়াদ শেষ হলেও সার্বিক কাজ শেষ হয়েছে ৭০ ভাগ। আর জাজিরা টিএনটি মোড় থেকে নাওডোবা পদ্মাসেতুর গোলচত্বর পর্যন্ত মাত্র ২৭ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ৩০ জুন ২০২৪ তারিখের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পুনরায় মেয়াদ বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ জুন ২০২৫ সাল পর্যন্ত।    বিকে নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক এমএইচ শিমুল বলেন, নাওডোবা থেকে কাজিরহাট পর্যন্ত প্রায় ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে, বৃষ্টি যখন হয় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেক কম থাকে, প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ছাত্র-ছাত্রীরা গাড়ি পায় না, গাড়ি খুবই কম থাকে আবার অনেক সময় গাড়ি উল্টে যায়।গাড়ি চালক সপন বলেন, আগে আমাদের ঢাকা যেতে দেড় ঘণ্টা সময় লাগতো, এখন দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। এছাড়া জায়গায় জায়গায় বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়।ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, এই রাস্তাটিতে খানাখন্দ থাকার কারণে আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। ভাঙা রাস্তা, বৃষ্টি হলে গাড়ি চলতে পারে না। আবার অনেক সময় গাড়ি উল্টে আমাদের অনেক মালামালের ক্ষতি হয়। আমরা দ্রুত এ রাস্তার কাজ শেষ করার  দাবি জানাই।সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বর্ষার কারণে সড়কের কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। বর্ষা শেষ হলেই কাজ দ্রুত এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন মোট ২২টি এলএ কেস এর মধ্যে ১টি মাদারীপুর ২১টি শরীয়তপুর, এর মধ্যে ১৩টি জেলা প্রশাসন সড়ক ও জনপদের নিকট হস্তান্তর করেছে, এখনো বাকি রয়েছে ৮টি সড়কে ধীরগতিতে কাজ হওয়ার পিছনে এটাও একটা কারণ বলে জানান ঐ কর্মকর্তা।