• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৩রা কার্তিক ১৪৩১ দুপুর ০২:৫১:৪৮ (18-Oct-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৩রা কার্তিক ১৪৩১ দুপুর ০২:৫১:৪৮ (18-Oct-2024)
  • - ৩৩° সে:

ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে লালমনিরহাটের স-মিল শ্রমিকরা, ঘটছে দুর্ঘটনা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাট জেলার স-মিলগুলোতে কোনো প্রকার নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি ছাড়াই কাজ করতে দেখা গেছে শ্রমিকদের। শ্রমিকদের অভিযোগ, আঘাতপ্রাপ্ত কিংবা অঙ্গহানি হলে শুধু প্রাথমিক চিকিৎসার খরচ পান, অন্য কোনো খরচ মালিক পক্ষ দেন না বা কোনো ক্ষতিপূরণও দেয়া হয় না।অপরদিকে মালিকরা বলছেন, নিরাপত্তা সরঞ্জাম কিংবা ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বন বিভাগ থেকে কোনো নির্দেশনা নেই।লালমনিরহাট বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলছেন, লাইসেন্সে এমন কোনো শর্ত নেই। তবে শ্রমিকের চিকিৎসা খরচ বা অন্যান্য খরচ বহনের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মিল মালিকের।লালমনিরহাটের সাকোয়া এলাকার একটি স-মিলের শ্রমিক (মিস্ত্রী) মজিদুল বলেন, ‘আমি ২৮ বছর থেকে এই কাজ করি। কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় আমার একটি আঙুলের কিছু অংশ কাটা পড়ে। এর ফলে আমি ৬ মাস ১৫ দিন বাসায় বেকার অবস্থায় বসে থাকি। আমার মালিক শুধু প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ৫ হাজার টাকা খরচ দেয়। কিন্তু আমি যে ছয় মাস বসেছিলাম সেসময় তারা আমাকে কোনো সহযোগিতা করেননি। আমাকে খুব কষ্টে সংসার চালাতে হয়েছে।মজিদুল আরও বলেন, ‘একবার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়িতে এক শ্রমিকের ৩টি আঙুল কেটে যায়। ফুলগাছ স-মিলের সুলতান মিস্ত্রীও দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। এছাড়াও সাপ্টিবাড়ী ডাক্তারের স-মিলে আরেক শ্রমিকের দুটি আঙুল কেটে যায়। এরকম অহরহ ঘটনা ঘটে কিন্তু আমাদের দেখার কেউ নেই’।শহিদুল ইসলাম নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমি ১৫ বছর ধরে কাজ করি। কিন্তু কাজ করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য কি সরঞ্জাম লাগে তা আমরা জানিও না কিংবা মালিকও দেয় না। আমার জানামতে গত কয়েক বছরে অনেক এক্সিডেন্ট হয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় আমাদের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা উচিত’।স-মিলে কাঠ কাটাতে আসা ফুলগাছের মো. আব্দুর রাকিব বলেন, ‘আমি স-মিলে কাজ করি না কিন্তু আমার পরিচিত দুইজন মিস্ত্রী সুলতান ও আব্দুর রহমান দুর্ঘটনায় হাতে জখমের শিকার হয়েছিল। এছাড়াও আমার ভাই মো. কাশেমের ব্লেড দিয়ে ৩টি আঙুল কেটে গিয়েছিল। কাচু নামে আরেক শ্রমিক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এক বছর বাসায় বেকার অবস্থায় বসে ছিল। কিন্তু মালিক শুধু তার চিকিৎসা খরচ দিয়েছিল’।  স-মিল মালিক শুক্কুর আলী বলেন, ‘বন বিভাগ থেকে সুরক্ষার বিষয়ে কিংবা ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া নাই। আমরা বহু বছর থেকে এভাবেই মিল চালিয়ে আসছি। আমরা আসলে এ বিষয়ে কী করতে হবে তা বুঝিও না বা জানিও না। তবে বন বিভাগ যদি কোনো নির্দেশনা দেয় তা আমরা মেনে চলবো’।লালমনিরহাট সামাজিক বনায়ন, নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে লাইসেন্স নেয়ার আগে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস থেকে অনুমোদন নিতে হয়। আমার জানামতে লাইসেন্সে শুধু ফায়ার সেফটির বিষয়টি উল্লেখ করা আছে। শ্রমিকদের সুরক্ষার ব্যাপারে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয় না’।তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কোনো এক্সিডেন্ট রেকর্ড বা তথ্য সংরক্ষণ করি না। তবে কেউ আমাদের জানালে তখনই বিষয়টি জানি। আর শ্রমিকের চিকিৎসা বা অন্যান্য খরচ মিল মালিকদের ওপর নির্ভর করে।