• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ দুপুর ১২:১৮:২২ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ দুপুর ১২:১৮:২২ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

সুন্দরবনে মিলছে অসংখ্য মৃত হরিণসহ বন্যপ্রাণী

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের কবলে পরে মারা গেছে সুন্দরবনের অসংখ্য হরিণসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী। এ পর্যন্ত ৩০টি মৃত হরিণ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। এখনও বনজুড়ে তল্লাশি চলছে, তাতে প্রাণীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ। এছাড়া, আহত অবস্থা উদ্ধার করা হচ্ছে অনেক প্রাণী।রিমেলের তাণ্ডবে বনের অভ্যন্তরে ২৫টি টহল ফাঁড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুন্দরবনের ৮০টি মিঠা পানির পুকুর ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে লবণ পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে গেছে। এর ফলে বনকর্মীদের পাশাপাশি বাঘ, হরিণসহ অন্যান্য বন্য প্রাণীরা সুপেয় পানির সংকটে পড়ছে।খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দে জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডব ও জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের প্রাণ প্রকৃতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে বিশেষ করে বনের অনেক হরিণ মারা গেছে। এ পর্যন্ত বনের শুধু কটকা এলাকা থেকে ৩০টি মৃত হরিণ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ।বন সংরক্ষক আরও বলেন, মৃত বন্যপ্রাণীর সন্ধানে বনজুড়ে বনরক্ষীদের তল্লাশি চলছে। তল্লাশিতে আরো মৃত বন্যপ্রাণী উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বনের গাছপালারও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে বনবিভাগের বিভিন্ন অফিসসহ টহলবোট, টিনের চালা, জানালা-দরজা, সোলার প্যানেল ও অবকাঠামোর।এছাড়া, কটকা অভয়ারণ্যের অফিস ঘাটের জেটি ও পুকুর বঙ্গোপসাগরের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দুবলা, কটকা, কচিখালি, বগি ও বিভিন্ন অফিসসহ ২৫টি টহলফাঁড়ির রান্নাঘরসহ অবকাঠামোর টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে। সুন্দরবনে অভ্যন্তরের মিঠা পানির পুকুরগুলোও জলোচ্ছ্বাসে লোনা পানিতে তলিয়ে গেছে।পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে এখানকার পর্যটক চলাচলের কাঠের পোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙ্গে তছনছ হয়েছে অসংখ্য গাছপালা। মাছ, হরিণসহ অনেক বন্যপ্রাণী মারা গেছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হচ্ছে অসংখ্য প্রাণীদের।এদিকে, রিমালের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়েছে বাগেরহাট জেলার ৪৫ হাজার ঘরবাড়ি। এর মধ্যে আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ১০ হাজার বাড়িঘর। উপড়ে পড়েছে কয়েক হাজার গাছপালা। এখনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে জেলার প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ।উল্লেখ্য, রিমাল তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্য ঘের। জেলার প্রায় ৪২ হাজার চিংড়ি ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে ১শ’ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার ৫শ’ ৮১ হেক্টর।