নরসিংদীতে মশার ওষুধের বিষক্রিয়ায় ১০ ছাত্রী অসুস্থ
নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীতে মশার ওষুদের বিষক্রিয়ায় স্কুল চালাকালে ১০ শিক্ষার্থী গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাদের দ্রুত হাসপাতালেও নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অসুস্থ শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, অসুস্থ হওয়ার পর ক্লাশ রুমে আটকে রাখা হয়েছিল। অন্য শিক্ষার্থীরা হৈচৈ শুরু করলে পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে অক্সিজেন দেয়া হয়।১৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে নরসিংদী বালিকা বিদ্যা নিকেতন এ ঘটনা ঘটেছে। অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা হলো ৭ম শ্রেণির জান্নাত, আয়েশা, তুবা ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির আলতা, তামান্না, সোহানা, হামিদা, সাইদা, নুসরাত, মুক্তা।স্কুল সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী পৌর সভার পক্ষ থেকে দুপুরে নরসিংদী বালিকা বিদ্যা নিকেতন, মহিলা কলেজ ও শিউলিবাক স্কুল প্রাঙ্গনে মশা মারার ঔষধ ছিটানো হয়। ওই সময় নরসিংদী বালিকা বিদ্যা নিকেতনে ক্লাশ চলছিল। ঔষধ ছিটানোর কিছুক্ষণ পর স্কুলের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির ১০ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন স্কুলের প্রধান শিক্ষাক তাদের ক্লাসের বাইরে বের হতে নিষেধ করেন। পরে অন্য ছাত্রীরা হৈ চৈ শুরু করে। এরই মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থীর শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে নরসিংধী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।অসুস্থ হয়ে পড়া ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তুবা জানান, ক্লাশ চলাকালে স্কুলের ভেতর মশা মারার ঔষধ দেয়া হয়। ঔষধ দেয়ার পর পরই আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তখন স্যার আমাদের স্কুলের জানালা খুলে দিতে বলেন। আমরা বাইরে বের হতে চাইলে আমাদের ক্লাস থেকে বের হতে দিচ্ছিলেন না। পরে চিৎকার চেচামেচি শুরু করলে অসুস্থ ছাত্রীদের হাসপাতালে আনা হয়।স্কুলের প্রধান শিক্ষক তুষার কান্তি ঘোষ বলেন, পৌর সভার পক্ষ থেকে স্কুলে মশা মারার ঔষধ দেয়া হয়। এতে কয়েকজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিই। মশা মারার ঔষধ দেয়ার বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ কিংবা আমাদেরকে পৌর সভা থেকে অবহিত করা হয়নি। তবে এখন সব শিক্ষার্থী ভালো এবং সুস্থ আছেন। সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছেন। অসুস্থ হয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আটকে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রীদের আটকে রাখা হয়নি। মশার ঔষধ ছিটানোর কারণে তাদের যেন তীব্র শ্বাস কষ্ট না হয় সে জন্য ক্লাশ রুমের ভেতরে থাকতে বলা হয়েছে।