৯৯৯ নম্বরে ফোন করে গভীর সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হলেন ৩১ পর্যটক
বাগেরহাট (পশ্চিম) প্রতিনিধি: ৯৯৯ নম্বরে ফোন কলের মাধ্যমে উদ্ধার হলেন সুন্দরবনে বেড়াতে আসা ৩১ পর্যটক। মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আজিজুল ইসলামের তৎপরতায় ও স্হানীয় বন কর্মকর্তা আজাদ কবিরের সহযোগিতায় গহীন সুন্দরবন থেকে হারিয়ে যাওয়া পথ খুঁজে পেয়ে লোকালয়ে আসতে সমর্থ হন তারা।২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রলার যোগে সুন্দরবনের করমজল পর্যটন স্পটে নেমে বনে প্রবেশ করেন একদল পর্যটক। এক পর্যায়ে তারা বনবিভাগের দেওয়া নির্ধারিত সীমানা অতিক্রম করে গহীন জঙ্গলে প্রবেশ করেন। সেখানে তারা বিভিন্ন প্রাণির হাড়গোড় ও বাঘের পায়ের ছাপ দেখে ভয় পেয়ে যান। কিন্তু ফিরতে গিয়ে পথ হারিয়ে আরও বেশি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন দলের সদস্যরা। সর্বশেষ জাতীয় সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে সহায়তা চাইলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টা মোংলা থানার অফিসার্স ইনচার্জকে ইনফর্ম করে। অফিসার্স ইনচার্জ কে এম আজিজুল ইসলাম গভীর সুন্দরবনে হারিয়ে যাওয়া পর্যটকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের অভয় প্রদান করেন। পাশাপাশি পথ খুঁজে পেতে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিতে থাকেন। ওসির নির্দেশনায় পরে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হতে পথের দিশা খুঁজে পায় পর্যটক দলটি।পরবর্তীতে স্হানীয় বন কর্মকর্তা আজাদ কবিরও তাদের সহায়তা করেন এবং তারা বিকেল নাগাদ ট্রলার যোগে মোংলা ঘাটে এসে পৌঁছান। সেখান থেকে তাদের রিসিভ করে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে সহযোগিতা করেন ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম।মোংলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাটের চিতলমারী থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ৩১ জনের একটি দল সোমবার সকালে সুন্দরবনের করমজলে ভ্রমণে যায়। বনে প্রবেশের কিছুক্ষণ পরই তারা পথ হারিয়ে ফেলেন। তাদের মধ্য থেকে ৯৯৯-এ খবর দেওয়ার পর মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে বিকেলে তাদের সন্ধান মেলে। তারা লোকালয় থেকে গভীর বনে ঢুকে পড়েছিলেন।