পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: পর্যটনের রাজধানী কক্সবাজারে সাপ্তাহিক দুইদিনের সঙ্গে দুর্গাপূজার টানা চারদিনের ছুটিতে কক্সবাজারের পর্যটকের ঢল নেমেছে । এরই মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে পর্যটন মৌসুম। এরইমধ্যে আবাসিক হোটেলের শতভাগের কাছাকাছি রুম বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। হোটেল-মোটেল জোন, সমুদ্র সৈকত ও কক্সবাজারের পর্যটন স্পটগুলোতে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
হঠাৎ প্রখর রোদ, হঠাৎ মিষ্টি রোদ, আবার মেঘলা আকাশ। সমুদ্রের গর্জন মানুষের মনকে করেছে উদ্বেলিত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন উদযাপন করছে তাদের ধর্মীয় মহোৎসব। সরকার পরিবর্তনের সময়ের মন্দা কাটিয়ে পর্যটন শিল্পে আশার আলো দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। দুর্গাপূজার বন্ধের সাথে সাপ্তাহিক ছুটিসহ চার দিনের ছুটি পুরো দেশে। এ সময়টা কাজে লাগাতে বরাবরের মতো এবারো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নেমেছে ভ্রমণপ্রেমীদের ঢল। পার্বত্য তিন জেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কারণে সবার লক্ষ্য এবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জসিম বলেন, এবার ২০ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটক সমাগম থাকবে কক্সবাজারে। ইতোমধ্যে ১০-১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ৯০-৯৮ শতাংশ হোটেল বুকিং হয়েছে। আর ১৪-২০ অক্টোবর পর্যন্ত ৮০-৮৫ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে।
১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণ পিপাসুদের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে সমুদ্র সৈকত। শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা ও ভ্রমণে আনন্দ উপভোগ করতে প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধ্যা পয়েন্ট ও কলাতলী পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধ্যা পয়েন্টের প্রবেশ মুখে বিশালাকারের গর্ত ও ভাঙনে স্পটটি তার সৌন্দর্য হারিয়েছে। আগে সেখানে বালুকাময় স্পটে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে নানান আয়োজন ছিল। এবার সেটি সমুদ্রের ভাঙনে প্রবেশমুখে সবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
ভ্রমণকে স্মরণীয় করার জন্য প্রিয় মানুষকে সাধ্যমতো উপহার কিনে দিতে ভিড় দেখা গেছে রাখাইন বার্মিজ মার্কেটগুলোতে। কেউ আবার মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ভঙ্গিতে ছবি তুলে ভ্রমণকে স্মৃতিময় করে রাখছেন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, কক্সবাজারে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবসময় ট্যুরিস্ট ও জেলা পুলিশের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি পূজা উপলক্ষ্যে পুলিশের একাধিক দল সৈকতসহ বিভিন্ন স্পটে অবস্থান করছেন। দেশের বৃহৎ সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন করতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত প্রশাসন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available