রমজানে লালমিরের দাম পেয়ে খুশি কৃষক
সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: পবিত্র মাহে রমজানকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় ব্যাপক হারে লালমির আবাদ হয়েছে। বিশেষ ধরনের ফলটিতে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় রোজাদারদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় দিন দিন চাষীরা ঝুঁকছেন লালমি চাষের দিকে। এবছর ফলন কিছুটা কম হলেও বাজারে চাহিদা থাকায় বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এই ফলটি।রমজানের শুরু থেকেই উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে লালমির চাষ করা হয়। বর্তমানে বাজারে প্রকারভেদে ১শত লালমি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব বাঙ্গি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এ বছর ফলন কম হলেও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। চলতি মৌসুমে পুরো ফরিদপুর জেলায় প্রায় ৫০ কোটি টাকার লালমি বিক্রির আশা সংশ্লিষ্টদের।স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্রতি বছর পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে এই অঞ্চলের চাষীরা লালমী চাষ করেন। রমজান শুরুর তিন মাস আগে থেকেই শুরু হয় এ ফলটি চাষের প্রক্রিয়া। তবে রাসায়নিক সার ও কিটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় ফলটি চাষে কৃষকদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষক আল-আমীন শিকদার জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে, দামও ভালো পাচ্ছি। এতে আমাদের খরচ তুলতে পারছি এবং লাভও হচ্ছে। বাজারে চাহিদা থাকায় আমরা বেশি জমিতে লালমি চাষ করেছি। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পেলে আগামী বছর আরও বেশি চাষ করব।এদিকে ক্ষেত থেকে লালমি কিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় তারা ভালো দাম পাচ্ছেন। তারা জানান, আমরা সদরপুর থেকে লালমি কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করছি। বাজার ভালো থাকায় আমাদেরও লাভ হচ্ছে। এই মৌসুমে লালমির চাহিদা অনেক বেশি। সরবরাহ ঠিক রাখতে আমরা প্রতিদিন কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহ করছি।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায় জানান, এ বছর উপজেলায় ৪৭০ হেক্টও জমিতে লালমি আবাদ হয়েছে। গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় এবার কৃষকেরা ২০ হেক্টর বেশি জমিতে লালমির আবাদ করেছেন। আমরা লালমী চাষীদের নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছি। সঠিক সময়ে জমিতে পরিমাণ মত সার ও বালাইনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি।