জীবন বাঁচাতে আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৭৯ সদস্য
কক্সবাজার প্রতিনিধি: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের অপর প্রান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরের জান্তাবাহিনীর সাথে বিদ্রোহীদের তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। বিদ্রোহীদের প্রচণ্ড আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে প্রাণ বাঁচাতে মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ১৭৯ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। বর্তমানে তারা বাংলাদেশ বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।এর মধ্যে ১১ মার্চ সোমবার সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে ২৯ জন প্রবেশ করে। পরে বিকালে প্রবেশ করে অন্যরা।অন্যদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ৪৫নং সীমান্ত পিলার নিকটবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের ওপার থেকে ছোঁড়া গুলিতে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাবের হোসেন (৪২) আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।সোমবার রাতে বিজিবি সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়। তাতে আরও বলা হয়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ১৭৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে।এদিকে গেল মাসে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে দেশটির বিদ্রোহী গ্রুপের চলমান সংঘর্ষের ঘটনায় দেশটির সরকারি কর্মকর্তাসহ ৩৩০ বিজিপির সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেওয়া হয় ।অন্যদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ৪৫নং সীমান্ত পিলার নিকটবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের ওপার থেকে ছোঁড়া গুলিতে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাবের হোসেন (৪২) ১১ মার্চ সোমবার বিকেলে আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।সাবের হোসেনের ছোটভাই অলি আহমদ (৩৩) বলেন, আমাদের এলাকায় নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকার কারণে আমার ভাই বিকেল ৫টার দিকে নেটওয়ার্কযুক্ত জায়গা জামছড়ি জামে মসজিদের পাশের পাহাড়ে যান। সেখানে হঠাৎ মিয়ানমারের ওপার থেকে গুলি এসে আমার ভাইয়ের কোমরে লাগে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।