• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ দুপুর ০২:৫৬:০১ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ দুপুর ০২:৫৬:০১ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

বাঁচতে চায় নড়াইলের ক্যান্সার আক্রান্ত কিশোরী উর্মি

নড়াইল প্রতিনিধি: বাঁচাতে চায় নড়াইলের ক্যান্সার আক্রান্ত কিশোরী উর্মি (১৫)। সুস্থ জীবনে ফিরে সে স্কুলে যেতে চায়। বন্ধু-বান্ধবী ও সহপাঠীদের সাথে খেলতে চায়। ক্যান্সার আক্রান্ত উর্মি চেনা-অচেনা যাকে দেখে তার কাছে জানতে চায় কবে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে স্কুলে যেতে পারবে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে তার যে আকুতি তা শুনলে কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারবে না।উর্মি নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক ইসলাম শেখ ও রিয়া বেগম দম্পতির একমাত্র মেয়ে। সে স্থানীয় মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী।১৬ নভেম্বর শনিবার উর্মিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় হৃদয় বিদারক দৃশ্য। তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না। উর্মিরা ৩ বোন ও এক ভাই। সবার ছোট ভাই একেবারেই অবুঝ শিশু। উর্মি মেজ। ৪ সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে দুর্মূল্যের বাজারে সংসার চালানো কঠিন। তারপর আবার ক্যান্সারের রোগী। খুবই দুর্বিষহ অবস্থা। উর্মি’র কান্না ও করুণ পরিণতি দেখে তার অপর দু’বোন অঝোরে কেঁদে চলেছে। সেই সাথে কাঁদছে তার দরিদ্র বাবা-মা। উর্মির চিকিৎসা করাতে গিয়ে ইতোমধ্যে সহায় সম্বল শেষ করেছে। শুধুমাত্র বাড়িটি আছে।উর্মি’র চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখিয়ে তার বাবা-মা আরোও জানান, উর্মি দুরারোগ্য ফাইব্রো সারকোমা ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আর্থিক অনটনের কারণে তার চিকিৎসা করানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন যথাযথ চিকিৎসা করা গেলে উর্মি সুস্থ হয়ে উঠবে। তবে তার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। সহায় সম্বল শেষ করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে দেনার দায়ে জর্জরিত। এমতাবস্থায় মেয়ের চিকিৎসা করানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তারা মেয়ের চিকিৎসা করানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের নিকট আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। এসব কথা বলতে গিয়ে তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকর গাজী বলেন, উর্মি তার প্রিয় ছাত্রী। সে খুবই মেধাবী। ক্যান্সারের মত কঠিন রোগে তার অসুস্থতার খবরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী ও তার সহপাঠীরা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন।উর্মি’র বাঁচার আকুতি তার সহপাঠী ও এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তবে চিকিৎসার আর্থিক সহযোগিতার ব্যাপারে কোন সাড়া মেলেনি। সহপাঠী ও শিক্ষকরা ১০/২০ টাকা চাঁদা তুলে যৎসামান্য টাকা দিয়েছে। উর্মির পরিবার দেশবাসির নিকট দোয়া ও আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। 

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান