সুদের টাকার চাপে রিকশা শ্রমিকের আত্মহত্যা
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে সুদের টাকার চাপ সইতে না পেরে আবদুল মান্নান ব্যাপারী (৬৫) নামের এক রিকশা শ্রমিক কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছেন।২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে বাউফল সদর ইউনিয়নের যৌতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় ১ বছর আগে মান্নান ব্যাপারী একটি রিকশা ক্রয়ের জন্য স্থানীয় আলমগীর হোসেনের কাছ থেকে সুদের বিনিময়ে ২০ হাজার টাকা ধার নেন। রিকশা চালিয়ে ইতোমধ্যে তিনি সুদে আসলে ৩৬ হাজার টাকা পরিশোধ করেন।কিন্তু আলমগীর হোসেন নতুন করে আরও ২২ হাজার টাকা দাবি করেন। সুদের টাকা পরিশোধের জন্য বুধবার দুপুরে অলিপুরা বাজারে শালিস বৈঠকের আয়োজন করেন আলমগীর হোসেন। বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য মান্নান ব্যাপারীকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে দুপুরে মান্নান ব্যাপারী ঘরে থাকা কীটনাশক পান করেন।পরে দ্রুত তাকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে বেলা আড়াইটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মান্নান ব্যাপারীকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।মান্নান ব্যাপারীর ভাতিজা লিটন ব্যাপারী সাংবাদিকদের জানান, সুদে-আসলে টাকা পরিশোধ করার পরও তার চাচাকে নতুন করে ২২ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল আলমগীর হোসেন। সুদের টাকার চাপ সইতে না পেরেই বিষপান করে আত্মহত্যা করেন তিনি।অবশ্য সুদ ব্যবসার অভিযোগ অস্বীকার করে আলমগীর হোসেন বলেন, আমি তাকে পাওনা টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করিনি।এ প্রসঙ্গে বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।