• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৩:১৬:২৮ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৩:১৬:২৮ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

ময়মনসিংহের ইদ্রিস আলী হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি গ্রেফতার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইলে জমিজমা সংক্রান্তে পূর্বশত্রুতার জেরে চাঞ্চল্যকর ইদ্রিস আলী(৫৫) হত্যার প্রধান আসামি সোহরাব উদ্দিন ওরফে বাবলু (৫৫)কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪, ময়মনসিংহ ও র‍্যাব-১০। ২৯ জুন শনিবার সকালে র‍্যাব-১৪ এর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় র‍্যাব।র‍্যাব জানায়, ময়মনসিংহের নান্দাইল থানাধীন ৮নং সিংহরাইল ইউনিয়নের কোণাডাংগর গ্রামের নিহত ইদ্রিস আলী ও আসামি সোহরাব উদ্দিনদের সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিলো। এই বিরোধের জেরে আদালতে মামলা দায়ের করার কারণে আসামিরা ইদ্রিস আলীর পরিবারের লোকজনের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। গত ২১ জুন সকালে আসামিরা রামদা, দা, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে ইদ্রিস আলীর বাড়িতে আক্রমণ চালায়।এ সময় আসামি মো. সোহরাব উদ্দিন ওরফে বাবলুর নির্দেশে অপর আসামি রাজন মিয়া (২৭) নিহতের ছোটভাই বদিউল আলম বাদলকে রামদা দিয়ে সজোরে আঘাত করে। একপর্যায়ে বাদী মো. বদিউল আলম বাদল (৪৫) দৌড়ে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। ওই সময় বাদীর বড় ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী এগিয়ে আসলে বিবাদীরা বাদীর বড় ভাইকে এলোপাথাড়ি পেটায় এবং স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করে। তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।একই দিনে সকাল সাড়ে ১১টায় বাদীর অপর ভাই মো. ইদ্রিস আলী (৫৫) বাজার করে বাড়িতে আসার সময় আসামিরা তার পথরোধ করে চর্তুদিক হতে ঘেরাও করে অতর্কিতভাবে হামলা শুরু করে। একপর্যায়ে মামলার আরেক আসামি সবুজ মিয়া তার কোমরে থাকা গামছা দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে টানাহেচড়া শুরু করে এবং আসামি মো. সোহরাব উদ্দিন বাবলু হত্যার উদ্দেশ্যে বাদীর বড় ভাই ইদ্রিস আলীর অন্ডকোষ চেপে ধরে। এছাড়াও অন্য আসামিরা তাদের কাছে থাকা লোহার রড দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথাড়িভাবে মারপিঠ করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় ইদ্রিস আলীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে আসামিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন মো. ইদ্রিস আলীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মো. বদিউল আলম বাদল (৪৫), বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলার প্রেক্ষিতে, বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে র‍্যাব-১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ এর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম, স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মুহা. জাহিদ হাসান ও র‍্যাব-১০ এর সহকারী পুলিশ সুপার এমজে সোহেলের নেতৃত্বে একটি দল ২৮ জুন শুক্রবার দুপুরে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার রায়েরবাগ ফুটওভার ব্রিজের নিচ থেকে মামলার ১নং আসামি মো. সোহরাব উদ্দিন ওরফে বাবলু (৫৫)কে গ্রেফতার করে।র‍্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সোহরাব উদ্দিন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরে তাকে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান