• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৪:২৬:২০ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৪:২৬:২০ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

মোমের আলোয় আলোকিত শেরপুরের গারো পাহাড়

শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বারমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টান ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী ফাতেমা রাণীর র্তীথ উৎসব। ১ নভেম্বর শুক্রবার সকালে সমাপনী মহা খ্রীষ্টযাগের (মূল প্রার্থনা) মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ র্তীথ উৎসব।প্রার্থনায় প্রেরণায় ফাতেমা রানি মা মারিয়া, যে পরিবার একত্রে প্রার্থনা করে, সে পরিবার একত্রে থাকে, এই মূল সুরে তীর্থ উৎসবে যোগ দেন প্রায় ৩০ হাজার দেশি-বিদেশি রোমান ক্যাথলিক খ্রীষ্টভক্ত। এখানের মূল আকর্ষণ আলোর শোভাযাত্রার মোমের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠে গারো পাহাড়।৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড়ের বারমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টান ধর্মপল্লীতে পুনর্মিলন, পাপ স্বীকার এবং বিকেলে পবিত্র খ্রীষ্টযাগের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় তীর্থ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। পরে রাতে আলোক শোভাযাত্রা, আরাধনা, ব্যক্তিগত প্রার্থনা, নিরাময় অনুষ্ঠান ও নিশি জাগরণ আজ সকালে জীবন্ত কুশের পথ ও মহা খ্রীষ্টযোগের মধ্যদিয়ে শেষ হয় দুই দিনের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান।দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা খ্রীষ্টভক্তরা নিজেদের পাপ মোচনে মোম জ্বালিয়ে আলোর মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এসময় প্রায় ৩ কিলোমিটার পাহাড়ি ক্রুশের পথ অতিক্রম শেষে মা-মারিয়ার প্রতিকৃতির সামনে সমবেত হয়ে ভক্তি শ্রদ্ধা জানিয়ে অকৃপণ সাহায্য এবং নিজেদের মনের বাসনা পূরণ, ভাল ফলাফল ও লেখাপড়া সহজ করতে প্রার্থনা করেন ক্যাথলিক ভক্তরা।ভক্তরা জানান, এখানে আসি, মা মারিয়ার কাছে আসি প্রার্থনা করতে, মনের বিভিন্ন ইচ্ছা বাসনা জানাতে। যাতে সেগুলো পূরণ হয়। আমি এখানে এসেছি আমার সন্তান, স্বামী ও পরিবারের জন্য প্রার্থনা করার জন্য। আমি মা মারিয়ার কাছে আসছি আমি যেন ভাল করে লেখা পড়া করতে পারি, আমার রেজাল্ট যেন ভালো হয়।এই জায়গাটা একটি তীর্থ স্থান, এখানে আমরা প্রতি বছর আসি, প্রার্থনা করা জন্য। এখানে আমাদের মা আছেন, মায়ের কাছে আমাদের চাওয়া গুলো মায়ের কাছে জানাই। মা যেন আমাদের চাওয়াগুলো পূর্ণ করে দেন। গীর্জার মাধ্যমে ও আলোর শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রার্থনা করি।প্রতি বছর অক্টোবরের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার তীর্থ উৎসব হয়। এই দিনটাতে আমরা এখানে মা মারিয়ার কাছে আসি। আমাদের পরিবারের জন্য, আমরা যেহেতু স্টুডেন্ট, তাই আমাদের সামনে চলার পথ যেন আরও সহজ হয় সে জন্যই আসি।আমরা এখানে আসি মা মারিয়ার কাছে অনেক কিছু পাই। আমরা মা মারিয়ার কাছে প্রার্থনা করি। আমার একটি মানত ছিল সে কারণেই এখানে আসছি, আমার মেয়েটার অসুখ, এজন্য আখানে আসা, আমার মেয়েটা যাতে ভালো হয়ে যায়। আমি এখানে নিজের ইচ্ছে যাতে পূরণ হয় আর মানুষের জন্য প্রার্থনা করতে আসছি।

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান