• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ দুপুর ০২:৪৮:৫৭ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ দুপুর ০২:৪৮:৫৭ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

বাঁশশিল্পের ধারা ধরে রেখেছে মোহনগঞ্জবাসী

অমৃত রায়: ভাটিবাংলার রাজধানী খ্যাত নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলায় যেমনি রয়েছে বাঁশশিল্পের প্রচলন, তেমনি রয়েছে বিপণন ঐতিহ্যও। বাঁশের তৈরি জিনিসের মধ্যে চেয়ার, টেবিল, বইয়ের সেলফ, মোড়া, কুলা, ঝুড়ি, ডোল, চাটাই থেকে শুরু করে এমনকি ড্রইংরুমের আসবাবপত্রেরও বিশেষ চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া মাছ ধরার পলো, হাঁস, মুরগির খাঁচা, শিশুদের ঘুম পাড়ানোর দোলনা এখনো ব্যাপকভাবে সমাদৃত। তবে কমেছে চাহিদা। তাই অসন্তোষ ব্যবসায়ী আর বাঁশশিল্পের সঙ্গে জড়িতদের।একসময় এ অঞ্চলে বিপুল পরিমাণে এসব বাঁশের সামগ্রী তৈরি হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হয়ে যেত। এখন সচরাচর গ্রামীণ উৎসব বা মেলাতেও বাঁশ ও বেতজাত শিল্পীদের তৈরি উন্নত মানের খোল, চাটাই, খালুই, ধামা, দোয়াড়, আড়ি, টোনা, আড়, হাপটা, পাল্লা, মোড়া, বুকসেলফ চোখে পড়ে খুব কম। যেখানে তালপাতার হাতপাখারই কদর নেই, সেখানে অন্যগুলো তো পরের কথা। প্রান্তিক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সুবিধা যেমন হাতপাখার চাহিদা কমিয়েছে; তেমনি মৎস্য শিকার, চাষাবাদ, ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র সব ক্ষেত্রেই কমেছে বাঁশ জাতীয় হস্তশিল্পের কদর।প্রকৃতপক্ষে বাঁশশিল্পে স্থান অনেকটাই প্লাস্টিক সামগ্রী দখল করে নিয়েছে। বর্তমানে বাঁশের সামগ্রী থেকে প্লাস্টিক সামগ্রী কেনার প্রতি আগ্রহ বেশি। তাছাড়া এখন বাঁশের উৎপাদন কমে যাওয়ায় এর দামও বেড়ে গেছে। ফলে এর ব্যয়ও বেশি হচ্ছে। শৌখিন মানুষ ঘরে বাঙালির ঐতিহ্য প্রদর্শনের জন্য বাঁশের সামগ্রী বেশি দাম দিয়ে কিনলেও মূলত ব্যবহারকারীরা বেশি দাম দিতে চান না। স্বল্প আয়ের মানুষেরা সমিতি কিংবা সমিতি থেকে সুদের বিনিময়ে টাকা নিয়ে বাঁশজাত দ্রব্যসামগ্রী তৈরি করে বিক্রি করলেও এতে তাদের খরচ পোষায় না। এর ফলে তারা অন্য পেশায় আকৃষ্ট হচ্ছেন।বাঁশ সামগ্রীর উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় তারা আর আগের মতো এগুলো কম দামে বিক্রি করতে পারছেন না। এদিকে ক্রেতারা এগুলোর দাম অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ায় ক্রয় করছেন না। প্রকৃতপক্ষে বাঁশের সামগ্রী যারা তৈরি করছে তাদের সরকার এবং বিভিন্ন এনজিওর সহায়তা করা অত্যন্ত জরুরি। বাংলার ঐতিহ্য বাঁশের সামগ্রীকে টিকিয়ে রাখতে হলে এর পেছনের মানুষগুলোকে আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে তাদের পেশাকে বাঁচাতে হবে। প্রয়োজন হলে এদের জন্য বিনা সুদে ব্যাংকঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় এসব সুন্দর বাঁশের হস্তশিল্প এক দিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান