হাটহাজারী দক্ষিণ মাদার্শায় জবরদখল ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগ
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম হাটহাজারী ১৩নং দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়ন ৯ নাম্বার ওয়ার্ডে তিতুমীর এমরান ও ইয়াছিন জনমনে আতঙ্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত এমরানের নামে ভোজপুরি ও হাটহাজারী থানায় মার্ডার মামলাসহ একাধিক মামলা আছে বলে জানা গেছে।এলাকাবাসীর অভিযোগ, হেফাজত, জামায়াত ও বিএনপি নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে মামলা দেওয়ার ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। তিতুমীর এমরান পিতা মোজাফফর ওয়ারেন্ট মামলার আসামি দীর্ঘদিন বিদেশে পলাতক ছিল। পটপরিবর্তনের পর দেশে ফিরে রাজনৈতিক ভোল্ট পাল্টিয়ে এলাকায় মানুষকে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা আসামি করার ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমরান ও ইয়াছিন নিরীহ মানুষের জমি দখলসহ এলাকায় নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরির চেষ্টা করছে বলে জানান ঈসমাইল- মান্নানসহ অনেকে।চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা মীর হেলাল উদ্দিন বলেন, ফেরার বা মার্ডার মামলার আসামির বিএনপিতে স্থান হবে না। চাঁদাবাজ বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। রাজনৈতিক পরিচয়ে যারা চাঁদাবাজি, জবর-দখল মানুষের মনে ভীতি তৈরি করবে, তাদের বিরুদ্ধে দল ও প্রশাসন আইনি ব্যবস্থা নিবে।এমরান ও ইয়াছিন বিগত সরকারের সময় আওয়ামী লীগ বর্তমানে বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজত নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় জবরদখল মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি চেষ্টা করছে বলে জানান এলাকাবাসী। এমনকি মদুনাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই মামুনকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য বলেন, দীর্ঘদিন বিদেশে পলাতক এমরান দেশের বাইরে অবস্থান করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, পুলিশের কর্মকর্তাদের হুমকি ধামকি ও সামাজিক মাধ্যমে নানান অপ্র-প্রচার চালিয়ে আসছে।এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য নিতে তাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।শান্ত এলাকাকে যারা অশান্ত করবে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা বলে জানান হাটহাজারী মডেল থানার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, অপরাধী সে যেই দলেরই হোক অপরাধ করলে ছাড় দেয়া হবে না।কেউ মিথ্যা বানোয়াট মামলা করলে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ। তিনি বলেন, এলাকায় কেউ জবর-দখল, সন্ত্রাসী বা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকলে আইনের আওতায় আনা হবে।