• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৩:০০:৩১ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৩:০০:৩১ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

সোনারগাঁয়ে অবৈধ চুনাভাট্টি সরানোর দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়া ও অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় গড়ে উঠেছে বারোটি চুনকারখানা। পরিবেশ দূষণকারী এসব চুনাভাট্টিগুলোতে দিনরাত জ্বলছে আগুন। আগুনে সৃষ্ট কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীর সঙ্গে উড়ছে ছাই। এই ধোঁয়ার কারণে আশপাশের মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। চুনাভাট্টির গ্যাসের কারণে নিঃশ্বাস নেওয়া কষ্টকর। যার ফলে আশপাশের অধিকাংশ বাসিন্দাদের শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের নিদারুণ বেগ পেতে হচ্ছে। তবে মালিকপক্ষ আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ার  কারণে তাদের কোনোভাবেই আইনের আওতায় আনা যায়নি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে এ সরকার সকল কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি।   অনতিবিলম্বে এ সকল কারখানাগুলো দ্রুত অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। এ সকল অবৈধ চুনাভাট্টি সরানোর দাবিতে ১৮ নভেম্বর সোমবার প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোনারগাঁয়ের ভাটিবন্দর এলাকায় নূর আলমের মালিকানাধীন তিনটি চুনাভাট্টি, রয়েল রিসোর্টের সামনে একটি চুনাভাট্টি, ভবেরচর সাফা পার্কের সামনে ছয়টি চুনাভাট্টি, বালিগাঁও এলাকায় দুটি চুনাভাট্টি রয়েছে তার। মনসুর হোসেনের মালিকানাধীন পিরোজপুর ইউনিয়নের সুখতারা পাম্পের সামনে মোজাফ্ফর ফাউন্ডেশনের ভিতরে চারটি চুনাভাট্টি রয়েছে, বাবুল মিয়ার মালিকানাধীন মেঘনাঘাট প্রেস মার্কেটের সামনে মোনায়েম সুগার মিল সংলগ্ন তিনটি ভাট্টি রয়েছে তার। মেঘনা সেতু এলাকায় জামঘর বালিয়াকান্দি এলাকায় সানুমিয়া ও লাভলু মিয়ার মালিকানাধীন চারটি চুনকারখানা রয়েছে তাদের। সাইফুল ইসলামের মালিকানাধীন মেঘনা ঘাট এলাকায় দুটি চুনকারখানা রয়েছে তার। বাদশা মিয়ার মালিকানাধীন পাগলা এলাকায় তিনটি চুনাভাট্টি রয়েছে তার। এ সকল চুনাভাট্টির মালিকরা পরিবেশের ছাড়পত্র ও তিতাস গ্যাসের অনুমতি না নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে আওয়ামী লীগ নেতাদের ম্যানেজ করে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে চুনাভাট্টি পরিচালনা করায় সরকার মোটা অংকের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পরিবেশের ছাড়পত্র ও ট্রেড লাইসেন্স না থাকার পরও কীভাবে এ সকল চুনাভাট্টিগুলো পরিচালনা করছেন এ নিয়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। তবে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চালাচ্ছেন এ সকল অবৈধ চুনাভাট্টি। ভাটিবন্দর এলাকার বাসিন্দা আফতাব উদ্দিন জানান, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর চুনাভাট্টির মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করার পরও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। পিরোজপুর এলাকার বাসিন্দা আক্কেল আলী জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে এ সকল চুনাভাট্টি অবৈধভাবে পরিচালনা করে। বর্তমান সরকার এসকল অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। চুন কারখানার মালিক নূর আলম, মনসুর হোসেন জানান, আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে কয়েকবার ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেও পাই নি। পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই আমরা চুনাভাট্টিগুলো পরিচালনা করছি। অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে কীভাবে কারখানা পরিচালনা করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ এইচ এম রাসেদ বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে যে সকল চুনকারখানা গড়ে উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।   তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড এর সোনারগাঁ কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জাফরুল আলম জানান,   যে সকল চুনাভাট্টির মালিকরা অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তাদের বিরুদ্ধে কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ফের এ সকল অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক জানান, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোন অবস্থাতেই চুনা কারখানা পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না। এ সকল মালিককে তাদের চুনাভাট্টি অন্যত্র সরানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান